গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ ঘটেছিল স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির ১০ জনের বিরুদ্ধে। সেই মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারও করেছিল পুলিশ। মামলায় প্রধান প্রমাণ ছিল মৃতার মৃত্যুকালীন জবানবন্দি। কিন্তু, সেই জবানবন্দির নথি আদালতে জমা দিতে পারেননি তদন্তকারীরা। তার ফলে ১০ অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করল আদালত। একইসঙ্গে, পর্যবেক্ষণে চিকিৎসকদের গাফিলতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিচারক। শুক্রবার কাটোয়া মহকুমা আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট এই দিয়েছে। সেইসঙ্গে গাফ🎶িলতির বিষয়ে চিকিৎসকদের সতর্ক করেছেন বিচারক।
আরও পড়ুন: আগেও মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন, আরজি কর মামলার রায় দেবেন সেই বিচারক🍒 দাস, রইল তাঁর পরিচয়
জানা গিয়েছে, মৃতা গৃহবধুর নাম পাপিয়া বিবি। তিনি কেতু গ্রামের কোজলসা গ্রামের বাসিন্দা। ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১০ সালের ২৫ নভেম্বর। অগ্নিদ্বগ্ধ অবস্থায় তাকে ভর্তি করা হয়েছিল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। এরপর চিকিৎসাধী𝕴ন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সেই ঘটনায় পাপিয়াকে খুনের অভিযোগ তুলেছিলেন তার বাবা-মা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তার স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি সহ ১০ জনকে গ্রেফতার করে। পরে মামলা শুরু হয় আদালতে।জানা যায়, মৃত্যুর আগে মৃত্যুকালীন জবানবন্দি দিয়েছিলেন পাপিয়া। তাঁর জবানবন্দি নিয়েছিলেন চিকিৎসক নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়। পাপিয়া জানিয়েছিলেন, যে তাঁর শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাঁর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। পরে ওই বছরের ২৯ নভেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়।
কিন্তু, জবানবন্দির সেই নথি আদালতে জমা দিতে পারেননি চিকিৎসকরা। আর তারফলে প্রমাণের অভাবে বাধ্য হয়ে ১০ জনকে বেকসুর খালাস করেন ফাস্ট ট্রাক আদালতের বিচারক। তবে বিচারকের পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে চিকিৎসকদের গাফিলতি। তিনি বলেন, ‘হাসপাতালের চিকিৎসকের গাফিলতির কারণে মৃতা পাপিয়া বিবি বিচার পেলেন না। এই ধরনের ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয়। এই রায়ের প্রতিলিপি পাঠানো হয় পূর্ব বর্ধমান জেলার ♛পুলিশ সুপার ও জেলা স্বা൩স্থ্য আধিকারিককে।