নির্দেশ দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এরপর একেবারে আদা জল খেয়ে ময়দানে নেমে পড়েছে তৃণমূল। পাড়ায় পাড়ায় ঘুরছে তৃণমূলের নেতারা। একেবারে বাড়ি বাড়ি ঘুরে খোঁজা হচ্ছে কোথাও কি ভুয়ো ভোটার লুকিয়ে রয়েছে?
একেবারে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছেন তৃণমূল নেতারা। তার মধ্য়েই এবার কার্যত কাজে উৎসাহ বৃদ্ধির জন্য একেবারে পুরস্কারই ঘোষণা করে দিল তৃণমূল। তবে এসবের মধ্য়েই যে সব ঘটনা সামনে আসছে তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। কোথাও দেখা যাচ্ছে ভিনরাজ্যের বাসিন্দা অথচ নাম রয়েছে এই রাজ্যের ভোটার তালিকায়। এমনকী বাংলাদেশের ভোটারের নামও রয়েছে এই রাজ্যের ভোটার তালিকায়। একেবারে চমকে দেওয়ার মতো ঘটনা।
তবে এসবের মধ্য়েই বড় ঘোষণা করে দিলেন শিলিগুড়ির তৃণমূলের নেত্রী পাপিয়া ঘোষ। তিনি একটি দলীয় সভায় জানিয়েছেন, যে বেশি ধরে দিতে পারবে দলের তরফ থেকে একটা পুরস্কার আমরা দেব। সেটা আমরা তাকে উৎসাহিত করার জন্য। উৎসাহ দেওয়ার জন্য় এটা বলা হচ্ছে। জানিয়েছেন পাপিয়া ঘোষ। কিন্তু কী ধরনের পুরস্কার দেওয়া হবে তা তিনি নির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি।
তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বিগত দিনে তৃণমূলের একাধিক নেতা নেত্রী ঘোষণা করতেন যে বেশি ভোটে লিড আনতে পারবে সেই নেতাকে পুরস্কার দেওয়া হবে। এবার একেবারে ভূতুরে ভোটার ধরার পুরস্কার। তবে শেষ পর্যন্ত তাতে কাজ কতটা হয় সেটাই দেখার। তবে পুরস্কারের ঘোষণা হতেই চারদিকে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তবে বিরোধীদের একাংশের দাবি, টোপ না দিলে তৃণমূলে কাজ হয় না। সেকারণেই প্রলোভন দেখানো হচ্ছে। এদিকে কোচবিহারের ক্ষেত্রেও দেখা গিয়েছে ভুরি ভুরি ভূতুরে ভোটারের খোঁজ মিলছে। এমনকী সেখানে দলের জেলা সভাপতিও বাড়ি বাড়ি গিয়ে এপিক কার্ড খতিয়ে দেখছেন। তবে শেষ পর্যন্ত গোটা রাজ্য জুড়ে এই এপিক কার্ডকে ঘিরে অসংগতি কতটা দূর হয় সেটাই দেখার।
এদিকে প্রতিবার ভোট এলেই এই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এই ভুয়ো ভোটারের খোঁজ মেলে। তবে এবার ভোটের এক বছর আগে আচমকা হুঁশি ফিরেছে শাসকদলের। একেবারে আদা জল খেয়ে ভূতুরে ভোটার খুঁজতে রাস্তায় নেমেছে তারা। বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন নেতারা। বিধায়ক, সাংসদ সহ একাধিক জনপ্রতিনিধিও এনিয়ে মতামত দিচ্ছেন।এবার একেবারে পুরষ্কারের ঘোষণা করলেন দার্জিলিংয়ের তৃণমূল নেত্রী। কার্যত কি টোপ দিয়ে ভূত খোঁজার প্রলোভন দেখালেন নেত্রী?