সামনেই আসছে পয়লা বৈশাখ। হাতে আর বেশি সময় নেই। আজ, শনিবার অফিস করেই বেরিয়ে পড়েছেন অনেকে। কারণ রাত পোহালেই রবিবার। ছুটির দিন। তারপর সোমবার বাবাসাহেব আম্বেদকরের জন্মজয়ন্তী। ওই দিনও ছুটি। তারপর পয়লা বৈশাখ। অর্থাৎ সেদিনও ছুটি। একদিকে উইক এন্ড। অপরদিকে নববর্ষের ছুটি♐। আর তাই টানা ছুটিতে দিঘায় পর্যটকদের ঢল নেমে পড়েছে। বাংলার নানা প্রান্ত থেকে পর্যটকরা ইতিমধ্যেই ভিড় জমিয়েছেন দিঘার সমুদ্রসৈকতে। সু💎তরাং সৈকতনগরীতে এখন থিক থিক করছে ভিড়ে।
এদিকে এই পরিস্থিতিতে হোটেলগুলিতেও প্রচুর মানুষের সমাগম হয়েছে। ফলে এখন হোটেল পাওয়া বেশ চাপের হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ অনেকেই শুক্রবার অফিস করে পরিবার নিয়ে দিঘায় এসে পৌঁছেছে। সুতরাং মౠনোরম পরিবেশে মেতে উঠেছেন এখানে আসা পর্যটকরা। একদিকে গরম থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সমুদ্রসৈকতে ভিড় বেড়েছে। অপরদিকে টানা ছুটি মিলে যাওয়ায় অন্য ম🌄েজাজ দেখা গিয়েছে সমুদ্রসৈকত শহর দিঘায়। দিঘায় নববর্ষের আগে টানা ছুটির জেরে উপচে পড়েছে পর্যটকদের ভিড়। তাতে অবশ্য হোটেল ব্যবসায়ীদের আঙুল ফুলে কলাগাছ।
আরও পড়ুন: ‘বিজেপি বৈমাতৃসুলভ আচরণের একটা প্রতিফলন দেখতে পেয়েছি’, সুপ্রিম রায়ে ক্ষোভ অভিষেকের
অন্যদিকে এখন ভিড়ে ঠাসা অবস্থা দিঘায়। এখানের সমস্ত হোটেল বুকিং হয়ে গিয়েছে। তাই হোটেল মালিকদের মুখে চওড়া হাসি। কলকাতা, নানা জেলা থেকে ভ্রমণপিপাসু মানুষজন দিঘায় ভিড় জমিয়েছেন। একইসঙ্গে মন্দারমণি, তাজপুর, শঙ্করপুরের হোটেলগুলিও বুকিং হয়ে গিয়েছে। এই ভিড় সাধারণত শীতকালে এবং অন্যান্য লম্বা ছুটির সময় আরও বেশি হয়। দিঘার পুরাতন সৈকত তার শান্ত পরিবেশে♕র জন্য পরিচিত, যেখানে নতুন দিঘার সৈকত আরও ব꧒েশি জনাকীর্ণ। তাই সমুদ্র স্নান, সার্ফিং, নৌকা–সহ বিভিন্ন জলক্রীড়ার সুযোগ থাকে এবং প্রচুর রেস্তোরাঁ ও ক্যাফে পর্যটকদের জন্য উপলব্ধ থাকে।
এছাড়া দিঘার সৈকতে অগভীর বালির পাড় এবং ঢেউ রয়েছে। যা পর্যটকদের জন্য উপযুক্ত। এই সৈকতগুলি বিশেষত শীতকালে মনোরম পরিবেশে পর্যটকদের আকৃষ্ট করে থাকে। দিঘায় নানা ধরনের হোটেল ও থাকার জায়গারও অভাব নেই। দিঘায় নানা বাজেটের সঙ্গে পর্যটকদের জন্য উপযোগী থাকার জায়গা রয়েছে। দিঘায় নানা ধরনের খাবার পাওয়া যায়, যেখানে বাঙালি এবং পূর্ব ভারতীয় খাবারের প্রাধান্য বেশি। সামনেই ৩০ এপ্রিল জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ছুটির সঙ্গে জগন্নাথ মন্দির দূর থেকে দেখার একটা বাড়তি উদ্দীপনা পর্যটকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে। দিঘার এক হোটেলের মালিক বিশ্বনাথ মান্না বলেন, ‘প্রায় দু’বছর পর এবার হোটেল সম্পূর্ণ বুকিং হয়ে গিয়েছে। করোনাভাইরাসের জন্য প্র🐻চুর লোকসানের মুখ দেখতে হয়েছে। এবার লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারব।’