চা–শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি দেওয়া উচিত। আর তা নির্ধারণ꧃ করতেই এবার বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়ছে রাজ্য সরকার। এই কমিটি যে রিপোর্ট দেবে তার উপর ভিত্তি করে আবার চা–বাগান মালিক এবং শ্রমিক পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করা হবে। শনিবার শিলিগুড়িতে এসে এই কথা জানিয়ে দিলেন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক। আজকের বৈঠকে মন্ত্রী মলয় ঘটক, রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়–সহ শ্রম দফতরের অফিসাররা ছিলেন। তবে এবার তরাই অঞ্চলের চা–শ্রমিকদের জন্য ঘেরাও করা হবে শিলিগুড়ির পিএফ অফিস বলেও আন্๊দোলনের ডাক দিলেন ঋতব্রত।
এদিকে মোদীর কথা বনাম দিদির কাজ ধরে ফেলেছেন চা–বাগানের শ্রমিকেরা বলে কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচন এলেই মোদী সরকারের প্রতিশ্রুতি শুরু হয়ে যায়। তাই এসবে আর শ্রমিকরা ভুলবেন না। তাঁরা ন্যায্য দাবি আদায় করেই ছাড়বেন। তাই এবার তরাই অঞ্চলের শ্রমিকদের জন্য ঘেরাও হব🌼ে শিলিগুড়ির পিএফ অফ🌳িস। এমনকী দাবি না মেটা পর্যন্ত আইএনটিটিইউসি’র আন্দোলন থামবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি।
আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদে গ্রেফতার চার বাংলাদেশি–সহ ভারতীয় দালাল, পিছনে কি বড় চক্র? তদন্তে পুলিশ
অন্যদিকে স্টেট গেস্ট হাউসে চা–শিল্পে শ্রমিকদের ন্যুনতম মজুরি নির্ধারণ কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে মালিক সংগঠন, নানা শ্রমিক সংগঠন এবং রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক–সহ অন্যান্য অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন। টানা দু’ঘন্টার বৈঠক হলেও ন্যুনতম মজুরি নিয়ে শ্রমিক এবং মালিকপক্ষ ঐক্যমতে আসতে পারেননি। তাই মন্ত্রী বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করার প্রস্তাব দেন। তবে পরবর্তী আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন সাংসদ তথা আইএনটিটিইউসির রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে এখন জোর চর্চা 🦹শুরু হয়েছে চা–বাগানের শ্রমিকদের মধ্যে। 𒁃শ্রমিকদের জন্য এভাবে আন্দোলন কেউ করেনি বলে দাবি তাঁদের।
যদিও সম্প্রতি সংসদে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় চা–শ্রমিকদের কথা তুলে ধরেছেন। যা দেখেছেন চা–শ্রমিকরা। এবার সেটা নিয়েই আন্দোলন। ইতিমধ্যেই বহু বন্ধ চা–বাগান খুলে দেওয়া হয়েছে। তাতে মুখে হাসি ফুটেছে চা–শ্রমিকদের। তবে চা–শ্রমিকদের ন্যুনতম মজুরি ঠিক না হওয়ায় খুশি নন শ্রমমন্ত্রী। তবে যে বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করা হচ্ছে সেই কমিটি চা–বাগান এলাকায় ঘুরে মালিকপক্ষ এবং শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে রিপোর্ট তৈরি করবে। গোটা বিষয়টি নিয়ে মলয় ঘটক বলেন, ‘ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ কমিটি গত ১০ বছরে ১৫ বার বৈঠকে বসেছে। কিন্তু ন্যুনতম মজুরি ঠিক করা যায়নি। তাই বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করা হচ্ছে।’ আর ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘চা– বাগান শ্রমিকদের কোটি কোটি টাকা বাকি পড়ে আছে পিএফের। এই বিষয়ে রাজ্য শ্রম দফতর থ𓄧েকে বারবার চিঠি দিয়েও মেলেনি উত্তর। তাই ঘেরাও আন্দোলন হবে।’