💯 নিজের গড়েই হেরে চলেছে বিজেপি। সেই হার এবারও অব্যাহত রইল। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অধীনে তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের দুটি সমবায় সমিতির নির্বাচন হয়ে গেল। তার মধ্যে একটি–নন্দকুমার ব্লকের দক্ষিণ নারকেলদা ও বেঙ্গিমুদিয়া সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি এবং দ্বিতীয়টি তমলুক ব্লকের শ্রীরামপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে চংরা কালাগন্ডা সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি। এই দুটি সমবায় নির্বাচনেই তৃণমূল কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। আর নিজেদের গড়েই গোহারা হল বিজেপি। যদিও এই হার মেনে নিতে চায়নি গেরুয়া শিবির।
🌱এই তমলুক লোকসভা কেন্দ্র থেকেই জয়ী হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী। সেখানে বিরোধী দলনেতার খাসতালুকে আবার পরাজয়ের মুখ দেখতে হল বিজেপিকে। নন্দকুমার ব্লকের নারকেলদা ও বেঙ্গিমুদিয়া সমিতিতে মোট আসন ৫৫টি। এখানে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি মুখোমুখি লড়াই হয়েছে। ভোট গণনার পর দেখা যায় তৃণমূল কংগ্রেস ৪৮টি আসন জিতেছে। বিজেপি ৭টি আসন পেয়েছে। আর তমলুক ব্লকে কালাগন্ডা সমবায় সমিতি মোট আসন ৯টি। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছে ৬টি এবং বিজেপি পেয়েছে ৩টি।
আরও পড়ুন: কিশোর ক্রিকেটারের রহস্যমৃত্যুতে উত্তপ্ত এসএসকেএম, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি পরিবারের সদস্যদের
এই পর পর সমবায় নির্বাচনে পরাজয় বিধানসভা নির্বাচনের আগে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। আগেই বেশ কয়েকটি সমবায় নির্বাচনে হেরেছে বিজেপি। আর এখানে পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে পুরসভার নির্বাচনেও হেরেছে বিজেপি। জয় বলতে দুটি লোকসভা আসনে। এক, তমলুক দুই, কাঁথি। তার আগে বা পরে সমস্ত নির্বাচনেই হারতে হয়েছে পদ্ম শিবিরকে। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অসিত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,👍 ‘এই জয় থেকেই এটা প্রমাণ হয় যে, মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে আছে। উন্নয়নের সঙ্গে আছে।’
পূর্ব মেদিনীপুরে ধীরে ধীরে সংগঠন কি দুর্বল হচ্ছে বিজেপির? এই প্রশ্ন এখন উঠতে শুরু করেছে। এমনকী সম্প্রতি বিজেপির জেতা পঞ্চায়েত চলে আসে তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে। কারণ ওই পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। এবার এখানকার সমবায় নির্বাচনেও ধরাশায়ী হল বিজেপি। যদিও এখানের বিজেপি নেত্রী অভিযোগ করেন,🥀 ‘এই সমবায় সমিতিতে প্রায় ১২ বছর ভোট হয়নি। অনেকদিন পর নির্বাচন হল। আর তৃণমূল কংগ্রেসের লোকেরা বাইরে থেকে লোক এনে সন্ত্রাস চালিয়েছে। তারপরেও আমরা ৭টি আসনে জিতেছি। এটা আমাদের বড় প্রাপ্তি।’