গবাদি পশুদের মধ্যে ইদানিং ‘লাম্পি স্কিন ডিজিজ’র সংক্রমণ বাড়ছে। এই🔯 রোগে মৃত্যুর হার ৮০ শতাংশ পর্যন্ত। অনেকেই আশঙ্কা করছেন যেভাবে এই রোগের সংক্রমণ বাড়ছে তাতে আগামী দিনে মহামারীর আকার ধারণ করতে পারে। তা নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতর। এই অবস্থায় রাজ্যজুড়ে পশুদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ করতে টিকাকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন।
আরও পড়ুন: লাম্পি স্কিন ডিজিজ মোকাবিলা🤪য় বাজারে আসছে প্রতিষেধক, মিলল অনুমোদন
পশু চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই রোগের সেরকম কোনও ওষুধ নেই। একমাত্র উপায় হল টিকা। এটি একটি ভাইরাল রোগ, যা মশা বা অন্য কোনও পোকামাকড় থেকে ছড়াতে পারে। আবার এই রোগে সংক্রমিত পশুর সংস্পর্শে এসেও এই রোগ হতে পারে। নবান্নের তরফে নির্দেশিকা জারি করে টিকাকরণের বিষয়টি জানানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, রাজ্যজুড়ে দেড় কোটি গবাদি পশুকে টিকাকরণের পরিকল্পনা করেছে রাজ্য সরকার। এই টিকার নাম হল ‘গোট পক্স ভ্যাকসিন’। এর জন্য ইতিমধ্যেই ২🥃৩টি জেলায় বিশেষ টিকা পৌঁছে গিয়েছে।
এই রোগের ফলে গবাদি পশুদের চামড়ায় ছোট বা গোটা ফোস্কা তৈরি হয়। সেইসঙ্গে গবাদি পশুর ব্যাপক জ্বর হয়। শুধু তাই নয়, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা, এমনকী শ্বাসযন্ত্রের সমস্যাও হতে পারে। পরিসংখ্যান বলেছে, সম্প্রতি গবাদি পশুদের মধ্যে এই রোগ ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। পশু বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই রোগ মানুষের পক্ষে মারাত্মক না হলেও সংক্রামিত পশুর দুধ বা মাংস খেলে সমস্যা হতে পারে। সম্প্রতি বিভিন্ন জেলার গবাদি পশুর মধ্যে এই প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছে। যারফলে মৃত্যু পর্যন্ত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা এই রোগ মহামারীর আকার ধারণ করতে পারে। তারপরেই টিকাকরণের সিদ্ধান্ত। কীভাবে টিকাকরণের কর্মসূচি চালানো হবে তাও জানানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রতিদিন বিকেল চারটের মধ্যে কতগুলি টিকা দেওয়♑া হয়েছে সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে জেলাগুলিকে।
সূত্রের খবর, সবচেয়ে বেশি টিকাকরণ হবে মূলত উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে। এরমধ্যে কোচবিহার জেলায় সবচেয়ে বেশি, যার সংখ্যা হল ৯৭ লক্ষ ৭ হাজার। এছাড়াও,💝 জলপাইগুড়ি জেলার ৫৭ লক্ষ ২ হাজার, আলিপুরদুয়ার জেলার ৪১ লক্ষ ৭ হাজার পশুকে টিকা দেওয়া হবে। অন্যদিকে, মুর্শিদাবাদ জেলায় ৮ লক্ষ ১৬ হাজার, নদিয়া জেলায় ৬ লক্ষ ৪৪ হাজার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ৮ লক্ষ ১৮ হাজার, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ১৪ লক্ষ ৩ হাজার, বাঁকুড়া জেলায় ১১ লক্ষ ৮০ হাজার পশুকে টিকা দেওয়া হবে।