পুলিশি এনকাউন্টারে মৃত্যু হল উত্তর দিনাজপুরের পাঞ্জিপাড়ায় ২ পুলিশকর্মীকে গুলি চালিয়ে ফেরার দুষ্কৃতী সাজ্জাক আলমের। শনিবার ভোর রাতে গোয়ালপোখর থানা এলাকায় ভারত - বাংলাদেশ সীমান্তে সাজ্জাক আলমকে এনকাউন্টার করে রাজ্য পুলিশের বিশেষ বাহিনী। পুলিশের দাবি, কুয়াশার সুযোগে বাংলাদেশে পালানোর চেষ্টা করছিল সাজ্জাক। তবে পুলিশের তরফে শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত সাজ্জাকের মৃত্যুর কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি। তাদের দাবি, অভিযুক্ত ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, শনিবার ভোর রাতে গোয়ালপোখরে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢোকার সময় পুলিশের মুখোমুখি হয় সাজ্জাক। তখন তাকে আত্মসমর্পণের প্রস্তাব দেন পুলিশ আধিকারিকরা। কিন্তু তাতে কান দেয়নি সে। এর পরও কুয়াশার সুযোগ নিয়ে পালানোর চেষ্টা করতে থাকে অভিযুক্ত। তখন পুলিশকর্মীরা গুলি চালালে সাজ্জাকের গায়ে গুলি লাগে। লুটিয়ে পড়ে সে। এর পর তাকে উদ্ধার করে ইসলামপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশের দাবি, ইসলামপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে সাজ্জাক। তবে হাসপাতাল সূত্রের খবর, মৃত্যু হয়েছে তার।বুধবার ইসলামপুর আদালত থেকে রায়গঞ্জ জেলে ফেরার সময় ২ পুলিশকর্মীকে গুলি করে পালায় বিচারাধীন আসামি সাজ্জাক আলম। জানা যায়, জেল লক আপে তার হাতে বন্দুক পৌঁছে দিয়েছিল আবদুল নামে এক বাংলাদেশি দুষ্কৃতী। ঘটনার পর থেকে সাজ্জাকের খোঁজে ম্যান হান্ট শুরু করে পুলিশ। ডিজি রাজীব কুমার বলেন, এই ধরণের দুষ্কৃতীদের কী করে শিক্ষা দিতে হয় তা পুলিশ জানে। পুলিশকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা ১টা গুলি ছুড়লে পুলিশ ৪টে গুলি ছুড়বে। তখন থেকেই এনকাউন্টারের জল্পনা শুরু হয়েছিল। ২ দিনের মাথায় সত্যি হল সেই আশঙ্কা।