বর্ষায় কলকাতার বিভিন্ন অংশে জল জমার সমস্যা দীর্ঘদিনের। মূলত খালগুলির ধারণ ক্ষমতার উপরে শহরে জল জমা নির্ভর করে। এই অবস্থায় মহানগরের খালগুলি কী অবস্থায় রয়েছে তা খতিয়ে দেখতে সেগুলি পরিদর্শন শুরু করলেন সেচ বিভাগ এবং কলকাতা পুরসভার কর্মীরা। বেশকিছু খালের জলে প্লাস্টিক এবং অন্যান্য বর্জ্য দেখতে পেয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আধিকারিকরা। এছাড়াও, ড্রেনেজ পাম্পিং স্টেশনের কাছে পলি জমে থাকতে দেখা হয়ে গিয়েছে। সেগুলি দ্রুত পরিষ্কার করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বর্ষায় নদী বাঁধের ওপর নজরদারি চালাবে কুইক রেসপন্স টিম, তৈরি হল ১২টি দল
জানা গিয়েছে, যে সমস্ত অংশে ড্রেনেজ পাম্পিং স্টেশনের কাছে পলি জমে আছে সেগুলি দ্রুত পরিষ্কার করতে বলা হয়েছে। কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ তারক সিং জানান, তিনি সেচ বিভাগের ইঞ্জিনিয়ারদের চৌভাগা ড্রেনেজ পাম্পিং স্টেশনের কাছের অংশটি আরও কিছুটা পরিষ্কার করতে বলেছেন। সেখানে আগেই পলি অপসারণের কাজ শেষ হয়েছে। তবে ড্রেনেজ পাম্পিং স্টেশনের কাছে আরও কিছুটা পলি তোলা প্রয়োজন বলে মনে করছেন আধিকারিকরা। প্রসঙ্গত, ভাসমান পদার্থ ড্রেনেজ পাম্পিং স্টেশনগুলিতে যাতে পৌঁছতে না পারে তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সেচ বিভাগ। তারপরও প্লাস্টিক জমা নিয়ে উদ্বিগ্ন আধিকারিকরা।
তাঁদের মতে, এইসব প্লাস্টিক ড্রেনেজ পাম্পিং স্টেশনগুলির পথে অবরুদ্ধ হয়ে খাল থেকে জল নামার গতি কমিয়ে দেয়।
জানা গিয়েছে, সোমবার আধিকারিকরা চারটি খাল পরিদর্শন করেছেন, সেগুলি হল- সুতি খাল, গুনিয়াগাছি খাল, ইন্টারসেপটিং খাল এবং টালিগঞ্জ-পঞ্চনগ্রাম খাল।