ভারতকে এখন হিন্দু রাষ্ট্র করতে উঠে পড়ে লেগেছে বিজেপি। এনডিএ সরকার তেমন কাজকর্ম করে চলেছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। এই আবহে বামপন্থীদের অবস্থা গোটা দেশে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। তাই এবার বামপন্থার সাম্প্রতিক হাল–হকিকত নিয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরতে কমিউনিস্ট দেশ চিন যাচ্ছে ফরওয়ার্ড ব্লক। বরাবরই বড় শরিক সিপিএমের লেজুর হয়ে থাকা দল এখন গা–ঝাড়া দিয়ে উঠেছে☂ বলে অনেকের মত। নেতাজির দল ফরওয়ার্ড ব্লককে এবার আমন্ত্রণ꧅ জানিয়েছে কমিউনিস্ট পার্টি অফ চায়না। বড় শরিক সিপিএমের হালই এখন শূন্য। কেরল ছাড়া গোটা দেশে তেমন কোনও অস্তিত্ব নেই। সেখানে তৃতীয় শরিককে কেন আমন্ত্রণ জানানো হল? উঠছে প্রশ্ন।
গোটা দেশে কোথায় ফরওয়ার্ড ব্লক আ🍨ছে? এই প্রশ্ন করলে কেউ একবাক্যে উত্তর দিতে পারবেন না। ভেবেচিন্তেও উত্তর দেওয়া মুশকিল। তার মধ্যেই বামপন্থীদের অভিযোগ, দেশজুড়ে বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে খতম করতে চাইছে। বামপন্থীদের উপর বারবার আক্রমণ নামিয়ে আনা হচ্ছে। বাংলাতেও ফরওয়ার্ড ব্লক খুঁজে পাওয়া যায় না। এই আবহে চিনের কমিউনিস্ট পার্টি ফরওয়ার্ড ব্লককে ডাকল কেন? এটাই বড় প্রশ্ন। দলের সাধারণ সম্পাদক জি দেবরাজনের সঙ্গে ইতিমধ্যেই ন💧য়াদিল্লি গিয়ে কথা বলেছেন রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায়। রাজধানীর পার্টি অফিসে চিন যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলে আজ সন্ধ্যায় চিনের বিমান ধরবেন বলে খবর।
আরও পড়ুন: ‘জনবিরোধী এনডিএ সরকার স্বাস্থ্যে জিএসটি বসিয়েছে’, প্রকৃত সেবা নিয়ে অভিষেকের বার্তা
সিপিএমের মতোই রাজ্যে এবং সর্বভারতীয় স্তরে তেমন প্রভাব নেই ফরওয়ার্ড ব্লকের। যে দু’একজন ভাল নেতা ছিলেন তাঁরা শাসক শিবিরে ভিড়ে গিয়েছেন। কয়েকজন প্রৌঢ় ছাড়া ফরওয়ার্ড ব্লকের কিছু নেই। সংগঠন বলেও কিছু নেই। তারপরেও আমন্ত্রণ পেলেন! অনেকে অবাক। এই বিষয়ে নরেন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘বামফ্রন্টের জমানায় ভক্তিভূষণ মণ্ডলের হাত ধরে ভারত–চিন মৈত্রী সমিতি গঠন হয়েছিল। ဣফরওয়ার্ড ব্লকের সঙ্গে তখন থেকেই চিনের কম🍸িউনিস্ট পার্টির সম্পর্ক মধুর। আমাদের কনফারেন্সেও চিনের প্রতিনিধি আসেন। এবার সে দেশের কমিউনিস্ট দলের আমন্ত্রণ একেবারে ‘পার্টি টু পার্টি’। তাই আমন্ত্রণ রাখতেই আমরা চিন যাচ্ছি।’
ফরওয়ার্ড ব্লকের সূত্রে খবর, আগামী ১০ দিনের কর্মসূচি আছে। তার মধ্যে বেজিং–সহ সাংহাই, ইউনান এবং নানা প্রদেশে বামপন্থার অবস্থা ভারতে কেমন সেটা তুলে ধরা হবে। শি জিনপিংয়ের দেশে নানা বিষয়ের উপর কনফারেন্স হবে। কৃষি ও গ্রাম উন্নয়ন বিষয়ক আলোচনায় যোগ দেবে ফরওয়ার্ড ব্লকের দুই নেতা। যদিও আগে চারবার চিনে গিয়েছেন নরেন চট্টোপাধ্যায়। তাঁর একটা অভিজ্ঞতা আছে। কিন্তু বড় শরিক সিপিএম কি জানে? নরেনবাবুর বক্তব্য, ‘সে আমরা কী করে বলব? ওদের তো জানানোর কোনওꦗ বিষয় নেই। আমরা গেলেই ওরা জানতে পারবে।’ চিনা ভাষা জানে না বলে দোভাষীরও ব্যবস্থা থাকছে।