꧟একেবারে হাড়হিম হত্যাকাণ্ড! ২০১২সালের ঘটনা। এক শিক্ষকের উপর হামলার ছক কষা হয়েছিল। কিন্তু তাকে বাড়িতে পায়নি মাওবাদীরা। এরপর তার ছেলেকে ডাকা হয় অত্যন্ত কৌশলে। জল চাওয়ার নাম করে তাকে ডাকা হয় বাড়ির বাইরে। এরপর কুপিয়ে খুন। সেই ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল মাও নেতা বিকাশ মুর্মুর। ঝাড়গ্রাম আদালত তার যাবজ্জীবন কারাদন্ডের নির্দেশ দিয়েছিল। ২০১৯ সালে ঝাড়গ্রাম আদালত অভিযুক্ত বিকাশ মুর্মু ও হরেন মুর্মুকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। এরপর তাদের যাবজ্জীবন কারাদন্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। এদিকে সেই সাজার মেয়াদ কমানোর জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন বিকাশ। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্ট ঝাড়গ্রাম আদালতের নির্দেশকে বহাল রাখল। কার্যত যেভাবে কৌশলে শিক্ষক পুত্রকে জল চাওয়ার নাম করে বাইরে ডেকে এনে খুন করা হয়েছিল তা জেনে শিউরে উঠেছিলেন অনেকেই।
২০১২ সালের ২৬শে মে। গভীর রাতে বেলপাহাড়ির বুড়িশোল এলাকায় গিয়েছিল মাওবাদীদের একটি দল। সেই সময় মাওবাদী𒅌দের নিশানায় ছিলেন তৃণমূল সমর্থক তথা পেশায় শিক্ষক সুবীর সাহা। রাতে দরজায় ধাক্কা দিয়েছিল মাওবাদীরা। বিপদ বুঝে কার্নিশে উঠে পালিয়ে যান সুবীর। বাইরে তখনও মাওবাদীরা। চারদিক নিঝুম। কোনও রকমে প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন সুবীর। কিন্তু সেই রাতেই বিকাশরা অত্য়ন্ত কৌশলে বলেছিল তাদের জল তেষ্টা পেয়েছে। একথা শুনে ভেতর থেকে দরজা খুলে জল দিতে বেরিয়েছিলেন শিক্ষকের পুত্র। আর তারপরই নেমে এল আঘাত।
🌃সেখানেই কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল শিক্ষকের পুত্র শ্য়ামল সাহাক। সেই সঙ্গেই ফতোয়া জারি করা হয়েছিল তৃণমূল করলেই মরতে হবে।
𒅌এই মামলায় বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, মাওবাদীদের চোখে ধুলো দিয়ে ওই শিক্ষক পালিয়ে গিয়েছিলেন। এরপর বিকাশ যেভাবে জল তেষ্টা পেয়েছে একথা বলে তার ছেলেকে বের করে আনে তারপর বিকাশের দলের অন্য়ান্যরা যেভাবে শিক্ষকের পুত্রকে কুঠার দিয়ে কুপিয়ে খুন করে সেই অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য। সেকারণে নিম্ন আদালতের রায় বহাল থাকার কথা জানানো হয়েছে।
🐼বিচারপতি জানিয়েছেন নিরীহ একজনকে জলতেষ্টা পাওয়ার কথা বলে বাইরে ডেকে এনে খুন করা ক্ষমার অযোগ্য। সেক্ষেত্রে বিকাশের সাজার মেয়াদ কমানোর আবেদন খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট।
ꦑএদিকে বিকাশের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, বিকাশের কাছে কোনও অস্ত্র মেলেনি। তিনি খুন করেননি।
⛦তবে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে বিকাশ যে জবানবন্দি দিয়েছিলেন সেটা উল্লেখ করেন বিচারপতি। সেই জবানবন্দিতে বলা হয়েছিল জল তেষ্টা পাওয়ায় তিনি শ্য়ামলকে বাইরে ডেকে এনেছিলেন।