তৃণমূলের মদতেই অনুপ্রবেশকারীরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে থাকার সুযোগ পাচ্ছে। এমনটাই অভিযোগ তোলা হচ্ছে বিশেষত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির তরফে। তবে এবার এনিয়ে মুখ খুলেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, এটা একেবারেই মিথ্যে অভিযোগ। কারণ বাংলাদেশের যে সীমান্তরেখা সেটা বিএসএফের আওতাধীন রয়েছে। সেকারণে যদি বাংলাদেশ থেকে কোনও অবৈধ অনুপ্রবেশ হয়ে থাকে হতে পারে সেটা বাংলার সীমান্ত দিয়ে বা ত্রিপুরার সীমান্ত দিয়ে , অসম সীমান্ত দিয়ে হতে পারে, কিছুদিন আগে একটা খবর হয়েছিল যে কিছু মানুষ ত্রিপুরা স্টেশন থেকে ধরা পড়েছেন,কারণ তারা দিল্লি ও কলকাতার দিকে যেতে চাইছিল। তারা বাংলাদেশের দিক থেকে ত্রিপুরায় প্রবেশ করেছিল। সেকারণে বেসিক বিষয়টি হল এটা বিএসএফের ব্যর্থতা। সীমান্ত কোনও রাজ্য পুলিশ বা অন্য কারোর আওতায় থাকে না। এটা বিএসএফের হাতে থাকে। এটা কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে থাকে। যদি কেউ অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করে সেটা পুরোপুরি কেন্দ্রীয় সরকারের, বিএসএফেﷺর ব্যর্থতা। বলেছেন কুণাল ঘোষ। খবর এএনআই সূত্রে।
কার্যত বিএসএফের ঘাড়েই যাবতীয় দায় ঠেলে দিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।
🎶এদিকে মুম্বইতে অভিনেতা সইফের উপর হামলার ঘটনায় যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে সে বাংলাদেশি বলে দাবি করা হচ্ছে।
🐼এদিকে বাংলার পাশাপাশি ত্রিপুরাতেও বাংলাদেশের সীমান্ত রয়েছে। সংবাদ প্রতিবেদনে জানা গিয়েছিল, সম্প্রতি ত্রিপুরা রাজ্য বিধানসভায় উপস্থাপিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত গত তিন বছরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করে অবৈধভাবে ত্রিপুরায় প্রবেশের দায়ে ২ হাজার ৮১৫ জন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
মোট গ্রেফতার করা বাংলাদেশিꦓদের মধ্যে ১ হাজার ৭৪৬ জনকে নিজের দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। বাকি ১,০৬৯ জনের মধ্যে ৪৭৪ জন ভারতীয় জেলে রয়েছেন, আটজন অস্থায়ী আটক কেন্দ্রে, দুটি আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছেন এবং ৫৮৫ জন জামিনে রয়েছেন।
﷽এদিকে সম্প্রতি দিল্লিতে অভিযান চালানো হয়েছিল। দিল্লিতে গ্রেফতার করা হয়েছিল একের পর এক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আর তাদের বাংলা যোগের সন্ধান মিলেছে। তাদের কাছে যে নথি মিলেছে তাতে লেখা ছিল পশ্চিমবঙ্গ। সূত্রের খবর এমনটাই।
൲একাধিক প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছিল ওই বাংলাদেশিরা জঙ্গলের রাস্তা ধরে, কিছুটা ট্রেনে চেপে বাংলার সীমান্ত দিয়ে ভারতে এসেছিলেন। এরপর জাল নথি দিয়ে বানিয়ে ফেলেছিল ভারতীয় পরিচয়পত্র। পশ্চিমবঙ্গের ঠিকানায় তারা আধার কার্ড বানিয়ে ফেলে। এদিকে ওই আধার কার্ড দেখার পরে পুলিশ প্রাথমিকভাবে কিছু করেনি। তবে এরপর ঠিকানা যাচাই করার পরেই দিল্লি পুলিশ নড়েচড়ে বসে।
꧅দিল্লি পুলিশ তাদের কাছে থাকা আধারকার্ড দেখে চমকে গিয়েছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে ঠিকানা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। জাল নথি দিয়ে এই ধরনের পরিচয়পত্র তৈরি করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। এরপরই পুলিশ সেই আধারকার্ডে উল্লেখ করা ঠিকানা যাচাই করে দেখে।
🍰তবে কুণাল ঘোষ অবশ্য় যাবতীয় দায় চাপিয়ে দিলেন বিএসএফের উপর।