𒆙 ১৯ জানুয়ারি ৭২ বছরে পা দিলেন মৃণাল সেনের মানসপুত্র। তাঁর জন্মদিনে ফিরে দেখুন কলকাতা থেকে আজকাল সমাজে সবার পলিটিক্যালি কারেক্ট থাকার চেষ্টা নিয়ে কী বলেছিলেন অঞ্জন দত্ত।
আরও পড়ুন: 💫ঢেউয়ে চেয়ার উল্টে গেছিল, সেটা তোলার পর দেখা গেল তার নিচে কাঞ্চনদা: সুহোত্র
কী বলেছেন অঞ্জন দত্ত?
ꩵকিছু মাস আগে সোল কানেকশন নামক একটি পডকাস্ট শোতে অঞ্জন দত্ত কথা বলেন আজকাল সমাজে সবার পলিটিক্যালি কারেক্ট থাকার চেষ্টা নিয়ে। গায়ক, পরিচালককে এই বিষয়ে বলতে শোনা যায়, 'পলিটিক্যালি কারেক্টনেসের একটা সমাজ তৈরি হয়েছে। তাতে নিজেকে অ্যাডাপ্ট করতে পারছি না। এই শহরটা, এই কলকাতা কখনই পলিটিক্যালি কারেক্ট ছিল না। ৭০ এর দশকে এখানে কত কী হয়েছে। এখানে একটা আন্দোলন হয়ে গেছে যেখানে বলা হয়েছে রবীন্দ্রনাথ শেষ কথা নয়।'
𒉰সঞ্চালক যখন তাঁকে বলেন, আগে কালো সাহেবের মেয়ে বলা গেলেও সেটা এখন বলা যাবে না। তাহলেই রেসিস্ট তকমা দেগে দেওয়া হবে, এই বিষয়ে অঞ্জন দত্তের কী মত। গায়ক বলেন, 'এগুলোকে সামনে আনার ইচ্ছে আছে আমার। আমি আজ আমার স্ত্রীকে আমার সমান মনে করি, বা কেউ তাঁর প্রেমিকাকে নিজের সমান মনে করে। কিন্তু তাই বলে কি সে সচেতন হবে? নারী স্বাধীনতা তো কবে হয়ে গেছে। কিন্তু এই ইকুয়ালিটি এখনও চাপিয়ে দেওয়া হবে কেন? মোটাকে মোটা বললে বডি শেমিং। মোটাকে মোটা বলব না, কালোকে কালো বলব না, বোকাকে বোকা বলব না তো কী বলব? ঠাট্টা মজা যদি না করতে পারি একে অন্যকে নিয়ে তাহলে তো গম্ভীর হয়ে থাকতে হবে। তাসের দেশে থাকতে হবে। আনন্দ করে থাকব আমি। এত সচেতন হয়ে থাকব কেন? অফিসে সচেতন থাকব। সবসময় কেন?'
♏তিনি এদিন আরও জানান, 'নিজেরই স্ক্রিপ্ট লিখতে অসুবিধা হয়। কাজের লোককে ঝি বলা যাবে না। কেন কাজের লোক বললে কি তার জাত উঠে যাচ্ছে, না নেমে যাচ্ছে, বুঝতে পারছি না। বেশ্যা কেন বলতে পারছি না? সেক্স ওয়ার্কার কেন বলতে হবে এটা বুঝতে পারছি না। এটা করতে করতে আমরা আমাদের জীবনের মজা হারিয়ে ফেলছি। বাঁচার আনন্দ হারিয়ে ফেলছি। প্রতি মুহূর্তে সচেতন থাকছি। এটা আমাদের কোথাও পৌঁছে দেবে না।'