🦋 নতুন করে অশান্ত বাংলাদেশ। এবার আক্রান্ত ওপার বাংলার আদিবাসীরা। পাঠ্যবই থেকে ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত চিত্রকর্ম বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে ঢাকার পাঠ্যপুস্তক ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ওপর চলল হামলা। ঘটনায় বেশ কয়েকজন আদিবাসী ছাত্র গুরুতর আহত হয়েছেন। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে ঢাকার মতিঝিল এলাকায়। অভিযোগ, স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টি নামে একটি মুসলিম ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা আদিবাসী সম্প্রদায়ের উপর হামলা চালায়। আহত কমপক্ষে ১১জন।
🦹আরও পড়ুন-বাংলাদেশে আক্রান্ত আদিবাসীরা, হামলা চালাল ছাত্র সংগঠন, আহত ১১
এই ঘটনার প্রতিবাদে এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হলেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান✤। দেশের তরুণ প্রজন্মের রক্তে ভাসছে ঢাকার রাস্তা, এই ছবি দেখে শিউরে উঠেছেন জয়া। তিনি লেখেন, 'আদিবাসী' নাগরিকদের রক্তে ঢাকার রাস্তা যেভাবে রক্তাক্ত করা হলো, সেটা মর্মান্তিক। এই রক্ত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের জখম আত্মা থেকেই বের হলো। কারণ বৈষম্যের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আদিবাসীরাও শরিক হয়েছিল।
🐷একদিকে আমরা সংবিধানের বৈষম্য দূর করতে চাচ্ছি, অন্যদিকে সংবিধানের দোহাই দিয়ে আদিবাসীদের ওপর হামলা করছি। আমাদের ঈমান ঠিক আছে তো? এ দেশ থেকে সব ধরনের বৈষম্য দূর হোক।'
💯জয়ার এই পোস্টের কমেন্ট বক্সে অনেকেই অভিনেত্রীকে সমর্থন করেছেন। তবে অনেকের গলাতেই ভিন্ন সুর। একজন লেখেন, ‘এই অন্যায়ের নিন্দা জানাচ্ছি, কিন্তু যেভাবে আন্দোলনকারীর আন্দোলন শুরু করছে তাতে প্রশাসন কি করবে, সব একসাথে নেমে গেছে মাঠে আর আপনি এখন এই পোস্ট দিছেন এতদিন কোথায় ছিলেন।’
𝄹আরেকজন লেখেন, ‘আপনি একজন দায়িত্বশীল জায়গা থেকে আদিবাসী শব্দটা ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবেন ,কারন বাংলাদেশে কোন আদিবাসী নাই, এটা আপনার জানা দরকার।’ বৃহস্পতিবার মতিঝিল থানার ওসি মেজবাহ উদ্দিন বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমকে জানান, হামলায় জড়িত দুইজনকে (আরিফ এবং আব্বাস) গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।
✤নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি বইয়ের পেছনের প্রচ্ছদে ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত একটি চিত্রকর্ম স্থান পেয়েছিল। সেখানে একটি গাছের পাঁচটি পাতায় লেখা ছিল মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ ও আদিবাসী, পাশে লেখা ছিল ‘পাতা ছেঁড়া নিষেধ’। ‘স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টি’ ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী গত ১২ জানুয়ারি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড- এনসিটিবি ঘেরাও করে ওই চিত্রকর্ম মুছে ফেলার ডাক দিয়ে। তারপর বইয়ের অনলাইন সংস্করণ থেকে চিত্রকর্মটি সরানো হয়। এর পালটা প্রতিবাদ জানায়, ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্রজনতা’ নামে আদিবাসী শিক্ষার্থীদের একটি সংগঠন। তারপরই ইউনুসের বাংলাদেশের মাটিতে ফের ঝরল শিক্ষার্থীদের রক্ত।