বাংলাদেশের তিনটি হাসপাতালের হিমঘরে ৮ জন ভারতীয়র মৃতদেহ পড়ে আছে বিগত কয়েক মাস ধরে। এমনই দাবি করা হল বাংলাদেশের সংবাদপত্র প্রথম আলোর রিপোর্টে। দাবি করা হয়েছে, এই ৮ ভারতীয় বাংলাদেশের কারাগারে বন্দি ছিলেন। এই সব দেহ ৬ মাস থেকে সাড়ে তিন বছর পর্যন্ত সময়কালের জন্যে বাংলাদেশের হাসপাতালে পড়ে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে এক পাকিস্তানি বন্দিরও মৃতদেহ বাংলাদেশের হাসপাতালের হিমঘরে আছে বলে জানা গিয়েছে। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, এই মৃতদেহগুলি বুঝে নেওয়ার জন্যে ভারত ও পাক সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে বাংলাদেশ। তবে তা সত্ত্বেও নাকি এই দুই দেশের সরকার বাংলাদেশের আবেদনে সাড়া দেয়নি। (আরও পড়ুন: ✱'...অপ্রয়োজনীয় বিদেশ ভ্রমণ', ইউনুসের 'কিপটে' বাংলাদেশ আসবে না 'অখণ্ড ভারতে')
আরও পড়ুন: ꦆট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন জয়শংকর, ওয়াশিংটনে টিপবেন 'রিসেট বোতাম'?
আরও পড়ুন: 𓆉বাড়ছে চাহিদা, বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলি থেকে রাজ্যের পকেটে ঢুকেছে ৭৯% বেশি টাকা
রিপোর্ট অনুযায়ী, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের হিমঘরে ৬ ভারতীয়র মৃতদেহ রাখা আছে। দাবি করা হচ্ছে, মৃত বন্দিরা হলেন - উত্তরপ্রদেশের ইমতাজ (মৃত্যু ২০২১ সালের ১৪ জুলাই), বিহারের তারেক বাইন (মৃত্যু ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর), পশ্চিমবঙ্গের খোকন দাস (২০২৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি), দিল্লির অশোক কুমার (মৃত্যু ২০২৩ সালের ২ অগস্ট), ঝাড়খণ্ডের কুনালিকার (মৃত্যু ২০২৩ সালের ২২ সেপ্টেম্বর)। এদিকে শরিয়তপুরের হিমঘরে আছে দিল্লির সতেন্দ্র কুমার (২০২৩ সালের ১৮ জানুয়ারি) এবং বাবুল সিংয়ের (২০২৩ সালের ১৫ এপ্রিল) মৃতদেহ। আর খুলনার হিমঘরে আছে পশ্চিমবঙ্গের সুরজ সিংহের (২০২৪ সালের ৭ জুলাই) মৃতদেহ। এছাড়া ঢাকার হিমঘরে আছে পাকিস্তানের করাচির মহম্মদ আলির (মৃত্যু ২০২১ সালের ১৮ জুন) মৃতদেহ। বাংলাদেশের দাবি, এই বন্দিদের অধিকাংশই অনুপ্রবেশের মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন। এদিকে মৃত বন্দিদের অধিকাংশই নাকি বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে মারা যান। (আরও পড়ুন:💙 ভ্যাটের চাপে চ্যাপ্টা বাংলাদেশ! কীসের দাম বাড়ল কত? ইউনুস সরকারের পকেটে ঢুকবে কত)
আরও পড়ুন: 🌳'বাবা-মাকে এপারে আনতাম',জাল নথি দিয়ে পাসপোর্ট করাতে গিয়ে ধৃত বাংলাদেশি হিন্দু
আরও পড়ুন: 🌠বাংলাদেশে একদিনে ১৪৫২ হামলার শিকার সংখ্যালঘুরা, এখনও মামলা হয়েছে ৫৩, ধরা পড়েছে…
🅘এই বিষয়ে কারা অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মহম্মদ মোতাহের হুসেন জানান, বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী বিদেশি কোনও বন্দির মৃত্যুর তিন মাসের মধ্যে তার দেহ যদি সংশ্লিষ্ট দেশ ফেরত না নেয়, তবে সেটির শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়। তবে এই সব ক্ষেত্রে মানবিকতার খাতিরে নাকি দেহগুলি রেখে দেওয়া হয়েছে এখনও। এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশের সবকটি কারাগার মিলিয়ে ৪৬৭ জন বিদেশি বন্দি আছেন। সম্প্রতি আবার বাংলাদেশ থেকে ফিরেছেন সে দেশে বন্দি থাকা ভারতীয় মৎস্যজীবীরা। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, এই ভারতীয় মৎস্যদীবীদের নাকি বাংলাদেশের জেলে মারধর করা হয়েছে।