পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি দক্ষিণী রাজ্য তামিলনাড়ুতেও বিধানসভার নির্বাচন হবে আগামী বছর। বাংলায় বিজেপি প্রধান বিরোধী দল হলেও তামিলনাড়ুতে এখনও পর্যন্ত শাসকদল ডিএমকে এবং প্রধান বিরোধী দল এআইএডিএমকে-র ভিড়ে বিজেপির উপস্থিতি নেহাতই নগণ্য। কিন্তু, আগামী বছরের নির্বাচনে কেন্দ্রের প্রধান শাসকদল যাতে দক্ষিণের এই রাজ্যেও জরুরি হয়ে উঠতে পারে, কার্যত তারই একটা বন্দোবস্ত করে ফেললেন বিজেপি অন্যতম শীর্ষ নেতা তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। আজ (শুক্রবার - ১১ এপ্রিল, ২০২৫) তিনি ঘোষণা করলেন, আসন্ন বিধানসভা নܫির্বাচনে এডাপ্পাডি কে পালানিস্বামী (ইপিএস)-এর নেতৃত্বাধীন এআইএডিএমকে-র সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে ভোটের লড়াই লড়বে বিজেপি।
এদিন চেন্নাইয়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এই ঘোষণা করেন অমিত শাহ। সেই মুহূꦜর্তে তাঁর একদিকে বসেছিলেন, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বিরোধী দলনেতা তথা এআইএডিএমকে-র সাধারণ সম্পাদক এডাপ্পাডি কে পালানিস্বামী এবং অন্যদিকে বসে ছিলেন, তামিলনাড়ু রাজ্য বিজেপির সভাপতি কে আন্নামালাই।
এদিনের এই সাংবাদিক সম্মেলনেই অমিত শাহ জানান, কেন্𒐪দ্রে যেমন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি তথা এনডিএ লড়াই করছে, তেমনই তামিলনাড়ুতে ইপিএস-এর নেতৃত্বেই এআইএডিএমকে এবং বিজেপি জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনী যুদ্ধে অবতীর্ণ হবে।
একইসঙ্গে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এও স্পষ্ট করে দেন যে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে🧜 তামিলনাড়ুতে বিজেপি ও এআইএডিএমকে জোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হবেন পালানিস্বামীই। তিনিই নির্বাচনে নেতৃত্ব দেবেন।
প্রসঙ্গত, এই দুই দলের মধ্যেই অতীতেও নির্বাচনী সমঝোতা ও জোট হয়েছিল। অতীতের সেই স্মৃতি এদিন স্মরণ করেন অমিত শাহ। বলেন, ১৯৯৮ সালে জয়ললিতার নেতৃত্বে জোটবদ্ধ হয়ে এই দুই দল বিরাট জয় লাভ করেছিল। একটা সময় ছিল, যখন তামিলনাড়ুর মোট𝓡 ৩৯টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৩০টিতেই বিজেপি-এআইএডিএমকে জোট জিতেছিল। তাই, আগামী বছরের নির্বাচনে নবগঠিত জোট নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী অমিত শাহ।
তবে, জোট হলেও এখনই আসন ভাগাভাগির মতো বিষয়গুলি নিয়ে কোনও কথা বলতে চꦐাননি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর মতে🦩 আসন ভাগাভাগি নিয়ে পরবর্তীতেই আলোচনা করা হবে। আর, জোট যদি জিতে সরকার গঠন করতে পারে, সেক্ষেত্রে ভোটে জেতার পরই মন্ত্রিত্ব ভাগাভাগি নিয়ে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
এদিনের সাংবাদিক সম্মেলন থেকে শাসকদল ডিএমকে-কেও নিশানা করেন অমিত শাহ। বলেন, আসল ইস্যুগুলি থꦺেকে নজর ঘোরা🐻নোর জন্য ডিএমকে নেতৃত্ব ও রাজ্য সরকার সনাতন ধর্ম এবং ত্রিভাষা নীতির মতো বিষয়গুলি নিয়ে সুর চড়াচ্ছে।