মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চিনের বাণিজ্য যুদ্ধ চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে।চিনের উপর ১০ থেকে বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাল্টা মার্কিন চড়া শুল্ক মোকাবিলায় পাল্টা দিয়েছে বেজিংও। এই পরিস্থিতিতে ভারতের দিকে ক্রমশ ঝুঁকছে চিন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক যুদ্ধে আতঙ্কিত চ🥀িনা বৈদ্যুতিন সামগ্রী নির্মাতারা ৫ শতাংশ পর্যন্ত দাম কমানোর প্রস্তাব দিচ্ছে। পাশাপাশি ভারতীয় সংস্থাগুলির সঙ্গে নতুন করে সোর্সিং চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে টিভি, ফ্রিজ ও স্মার্টফোন নির্মাতারা মনে করছেন, এটা উল্লেখযোগ্য ছাড়। কারণ, এর জেরে তাঁদের সঞ্চয় ২-৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে। এদিকে চাহিদা বৃদ্ধির জন্য ভারতীয় নির্মাতারা গ্রাহকদের কাছে কিছু কম দামের সুযোগ তৈরি করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। এমনই দাবি টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্টের।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-চিন শুল্ক যুদ্ধের ফলে চিনা নির্মাতাদের কাছে নতুন অর্ডার আসা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। কারণ, বিশ্বব্যাপী সরবরাহ নেটওয়ার্কগুলি পারস্পরিক শুল্কের সঙ্গে মানিয়ে নিচ্ছে। চিনা পণ্যের উপর সর্বোচ্চ ১২৫ শতাংশ হারে কর আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। চিনা ইলেকট্রনꦫিক্সের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাহিদা হ্রাসের ফলে উপাদানগুলির প্রয়োজনীয়তাও প্রভাবিত হবে। এই প্রসঙ্গে গোদরেজ এন্টারপ্রাইজেস গ্রুপের অ্যাপ্লায়েন্স ব্যবসার প্রধান কমল নন্দী বলেন, 'এটি ভারতীয় আমদানিকারকদের জন্য যন্ত্রাংশের দাম পুনর্বিবেচনার সুযোগ উন্মুক্ত করবে।' অন্যদিকে সুপার প্লাস্ট্রোনিক্সের সিইও অবনীত♐ সিং মারওয়া দ্য ইকোনমিক টাইমসকে বলেন, 'যেহেতু ভারতীয় সংস্থাগুলি মে-জুন থেকে নতুন অর্ডার দেবে, তাই আলোচনার মাধ্যমে কিছু ছাড় গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।'
উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর ভারত চিনের সবচেয়ে বড় বাজার। চিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে স্মার্টফোন, কম্পিউটার, খেলনা, পোশাক, ভিডিয়ো গেমস, বৈদ্যুতিক জিনিসপত্র থেকে শুরু করে চিকিৎসা পণ্য সবকিছু বিক্রি করে।কিন্তু পাল্টা শুল্কের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট✤্র আর চিনের জন্য খুব একটা লাভজনক বাজার থাকবে না। ফলে চিন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শুল্ক যুদ্ধে লাভবান হতে চলেছে ভারত। তাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চিনের উপর থেকে শুল্কের বোঝা না কমালে আগামী দিনে ভারতের বাজারে আরও সস্তায় মিলতে পারে চিনা স্মার্টফোন, ফ্রিজ, টিভির মতো একাধিক পণ্য।
প্রসঙ্গত, বুধবারেই পাল্টা শুল্ক নীতি কার্যকর হওয়ার মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যেই বড় সিদ্ধান্তের ঘোষণা ক♋রেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। চিন ছাড়া অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রে ৯০ দিনের পাল্টা শুল্কে স্থগিতাদেশ জারি করা হয়। একই সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয়, চিনা পণ্যের উপর এবার ১২৫ শতাংশ হারে শুল্ক কার্যকর হবে। ওয়াশিংটনের এই ঘোষণার পরেই অস্থিরতা তৈরি হয় চিনা শিল্পমহলে।