নাম নিয়ে বিভ্রাট? নাকি বোঝার ভুল? নাকি আদতে পুরোটাই ভুয়ো খবর? কোনটা যে সঠিক কারণ, তা নিয়ে কাটাছেঁড়া তো চলছেই, হয়তো আগামী কয়েকটা দিন চলবেও। কিন্তু, কারণ যাই হোক, একেবারে শেষবেলায় এসে মূলত বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের আপত্তিতেই আজ (মঙ্গলবার - ১৫ এপ্রিল, ২০২৫), বাংলা ন𓂃ববর্ষ বা পয়লা বৈশাখের দিনে দিল্লিতে পালিত হল না 'বাংলা' দিবস। সংবাদমাধ্যমে অন্তত এমনই তথ্য সামনে এসেছে।
ঘটনা হল - ইতিমধ্যেই 'পশ্চিমবঙ্গ' দিবস নিয়ে রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্য়ে টানাপোড়েন চলছে। বিজেপির পক্ষ থেকে ২০ জুন দিনটিকে 'পশ্চিমবঙ্গ দিবস' হিসাবে পালন করা হয়। কারণ, অতী♉তে ওই তারিখেই বাংলা ভাগ নিয়ে ভোটাভুটি হয়েছিল।
কিন্তু, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নেতৃত্বাধীন তꦰৃণমূলের বক্তব্য হল, বাংলা ভাগ নিয়ে ভোটাভুটির দিনটি আসলে বেদনার দিন। তাই, সেই দিনটিকে কখনও পশ্চিমবঙ্গ দিবস হিসাবে উদযাপন করা যায় না। তাই, মমতা ও তাঁর দল, আজকের দিনটিকে - অর্থাৎ - বাংলা নববর্ষের দিনটিকেই 'পশ্চিমবঙ্গ দিবস' হিসাবে পালন করছে।
অন্যদিকে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লিতে নবগঠিত বিজেপি সরকার (রাজ্য সরকার) পয়লা বৈশাখের এই দিনটিকেই 'বাংলা দিবস'💞 হিসাবে পালন করার তোড়জোড় শুরু করেছিল। তার জন্য সমস্ত আয়োজনও প্রায় সারা হয়ে গিয়েছিল। ঠিক করা হয়েছিল, দিল্লি সচিবালয়ের প্রেক্ষাগৃহে 'বাংলা দিবস' পালন করা হবে। কিন্তু, শেষবেলায় তা বাতিল হয়ে যায়।
সূত্রের দাবি, বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের আপত্তির কারণেই নাকি সমস্ত আয়োজন ভেস্তে যায়। তার আগে পর্যন্ত ঠিক ছিল, দিল্লি সরকারের সাহিত্যকলা পরিষদ এবং পর্যটন ও পরিবহণ উন্নয়ন নিগম এই অনু🧔ষ্ঠান আয়োজন করবে। সেই অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল দিল্লি সরকারের কলা-সংস্কৃতি ও ভাষা মন্ত্রী কপিল মিশ্রের উপর। এমনকী, এই অনুষ্ঠানের প্রচারে যাতে কোনও খামতি না 𝓰থাকে, সেদিকেও নজর দেওয়া হয়েছিল। তার জন্য যে বিজ্ঞাপন তৈরি করা হয়েছিল, তাতে দিল্লির নয়া মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও ছবি ছিল।
কিন্তু, সূত্রের দাবি - বঙ্গ বিজেপির তরফ থেকে এই বিষয়ে দিল্লির নয়া বিজেপি সরকারের কাছে আপত্তি জানানো হয়। তাদের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করা হয় যে তারা চায় না, 🎐পয়লা বৈশাখের দিন দিল্লির সচিবালয়ে এই অনুষ্ঠান করা হোক। তাতেই নাকি শেষ মুহূর্তে পয়লা বৈশাখে ✃'বাংলা দিবস' পালনের অনুষ্ঠান বাতিল করে দেওয়া হয়।
এদিকে, দিল্লির সরকারের এই 'বাংলা দিবস' পালনের সঙ্গে নাকি 'পশ্চিমবঙ্গ দিবস'ক𓂃ে গুলিয়ে ফেলা হচ্ছে - এমন একটা তত্ত্ব বা অভিযোগও সামনে আসছে। বঙ্গ বিজেপি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, দিল্লির সরকার মোটেওไ পয়লা বৈশাখের দিন 'পশ্চিমবঙ্গ দিবস' বা 'পশ্চিমবঙ্গ প্রতিষ্ঠা দিবস' পালনের কোনও উদ্যোগ নেয়নি। এই বিষয়ে আদতে ভুয়ো খবর ছড়ানো হয়েছে!
আবার দিল্লি সাহিত্যকলা পরিষদ সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, পুরো বিষয়টি নিয়েই একটি ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আসলে ১৫ এপ্রিল পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে 'বাংলা দিবস' পালনের জন্য একটি সাংস⭕্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল। একে মꦉোটেও 'পশ্চিমবঙ্গ প্রতিষ্ঠা দিবস' হিসাবে উল্লেখ করা হয়নি। বঙ্গ বিজেপির নেতারাই নাকি ভুল বুঝেছেন এবং সেই কারণেই এই অনুষ্ঠান নিয়ে তাঁরা আপত্তি তুলেছেন!