মায়ানমার থেকে অস্ত্র পাচার হচ্ছিল বাংলাদেশে! সেই অপকর্ম চালানো হচ্ছিল উত্তর-পূর্ব ভারত দিয়ে। কিন্তু, গন্তব্যে অস্ত্র নিয়ে পৌঁছানোর আগেই পাচারকারীদের উদ্দেশ্যে জল ঢেলে দিল ভারতের মিজোরাম পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগ। এই দুই পক꧅্ষের যৌথ অভিযানে ভেস্তে গেল অস্ত্র পাচারের অপচেষ্টা।
পুলিশ সূত্রে খবℱর, ভারতের দুই পড়শি দেশ - মায়ানমার ও বাংলাদেশের দুই বিচ্ছিন্নতাবাদী সং𒉰গঠন এই পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এক পক্ষ অন্য পক্ষকে গোপনে অস্ত্র পাচার করছিল।
সংশ্লিষ্ট সফল যৌথ অভিযানে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে মায়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন 'চিন ন্যাশানাল ফ্রন্ট' (সিএনএফ)-এর একজন নেতাও রয়েছে বলে জানা গꦚিয়েছে।
পুলিশের তরফে♛ জানানো হয়েছে, 'প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, যে অস্ত্র ও বিস্ফোরক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, তা আসলে মায়ানমারের চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (সিএনএফ) এবং ইউনাইটেড পিপল'স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ-পি)-এর মধ্য়ে হতে চলা এক ব্যবসায়িক লেনদেনের অংশ ছিল। ইউপিডিএফ-পি নামক এই বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনটি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম পার্বত্য এলাকায় সক্রিয় রয়েছে।'
মিজোরাম পুলিশের তরফে আরও জানানো হয়েছে, এই অভিযান চালানো হয়েছিল সাইথা নামক একটি 𒀰গ্রামের বহিরাংশে। এই এলাকাটি মিজোরামের মামিত জেলার পশ্চিম ফেইলেং থানার অন্তর্গত। বুধবার এই যৌথ অভিযান চালানো হয়। এই অভিযানে ছ'টি একে-৪৭ রাইফেল, ১০,০৫০টি কার্তুজ এবং ১৩টি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের তরফে আরও জানানো হয়েছে, ‘যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে সিএনএফ-এর একজন উল্লেখযোগ্য নেতাও রয়েছে। মিজোরাম রাজ্য়ে বিচ্ছিন্নতা-বিরোধী যেকোনও অভিযানে এমন কোনও ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে পারাটা একটা বিরাট সাফল⛎্য।’
এই যৌথ অভিযান সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ্যে আনার সময় মিজোরাম পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই অভিযানে যে পরিমাণ অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার ক🔯রা হয়েছে, তা পরিমাণের দিক দিয়ে অন্যতম সর্বাধিক। এবং এই ঘটনা থেকেই প্রমাণিত যে দেশের এ🐓ই অংশ ব্যবহার করে অস্ত্র পাচারের কারবার ফেঁদে বসেছে বিচ্ছিন্নতাবাদী ও পাচারকারীরা।
পুলিশের তরফে দেওয়া বিবৃতিতে এই প্রসঙ্গে বলা হয়, 'উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের পরিমাণের নিরিখে এটি মিজোরামের অন্যতম বৃহৎ ঘটনা। এর ফলে এই এলাকা দিয়ে অস্ত্র পাচার নিয়ে উদ্বেগ বাড়ল। শুধু তাই নয়। এক্ষেত্রে অস্ত্র পাচারের সময় এক𝓀াধিকবার আন্তর্জাতিক সীমান্ত পার করা হচ্ছে। যা এখানকার আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষার পক্ষে বিপজ্জনক।'
এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই স্থানীয় থানায় অভিযোগ দ🔜ায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের কাজ শুরু করেছে। এই অঞ্চলকে ব্যবহার করে অস্ত্র পাচারাকারীরা যাতে তাদের শিকড় গেড়ে বসতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে যা যা করার, সেই প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।