💧 অষ্টম বেতন কমিশন গঠনের ঘোষণা করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আপাতত কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা সপ্তম বেতন কমিশনের আওতায় আছেন। সেই বেতন কমিশনের আওতায় বেতন এবং মহার্ঘ ভাতা (ডিয়ারনেস অ্যালোওয়েন্স বা ডিএ) পাচ্ছেন। ২০২৬ সালে যে বেতন কমিশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। আর সেই বেতন কমিশনের পথ চলা শুরু হয়েছিল প্রায় ৮০ বছর আগে থেকে। তারপর থেকে সরকারি কর্মচারীদের ন্যূনতম বেতন বৃদ্ধি পেয়েছে ৩২,৬২৭.২৭ শতাংশ। আর সর্বোচ্চ বেতন ১১,৫০০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে অষ্টম পে কমিশনের আগেই প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ এবং সপ্তম বেতন কমিশনের ইতিহাস জেনে নিন।
প্রথম বেতন কমিশন
১) ১৯৪৬ সালের মে থেকে ১৯৪৭ সালের মে।
২) চেয়ারম্যান ছিলেন শ্রীনিবাসন বরদাচারি।
♋৩) স্বাধীনতার পরে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের বেতন কাঠামোকে যুক্তিসংগত করে তোলার উপরে জোর দেওয়া হয়েছিল।
𝓡৪) ন্যূনতম বেতন প্রতি মাসে ৫৫ টাকা ছিল। আর সর্বোচ্চ বেতন ছিল মাসিক ২,০০০ টাকা। যে বেতন কমিশনের ফলে উপকৃত হয়েছিলেন প্রায় ১৫ লাখ কর্মচারী।
দ্বিতীয় বেতন কমিশন
১) ১৯৫৭ সালের অগস্ট থেকে ১৯৫৯ সালের অগস্ট।
২) চেয়ারম্যান ছিলেন জগন্নাথ দাস।
🦩৩) মাসিক ন্যূনতম বেতন বাড়িয়ে ৮০ টাকা করার সুপারিশ করেছিল। দ্বিতীয় বেতন কমিশনের ফলে ২৫ লাখ কর্মচারী উপকৃত হয়েছিলেন।
তৃতীয় বেতন কমিশন
১) ১৯৭০ সালের এপ্রিল থেকে ১৯৭৩ সালের মার্চ।
🍃২) রঘুবীর দয়ালকে মাথায় রেখে তৃতীয় বেতন কমিশন গঠন করা হয়েছিল।
💟৩) কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, বেতন কাঠামোয় যে বৈষম্য ছিল, তা দূর করা হয়েছিল। বেসরকারি এবং সরকারি ক্ষেত্রের কর্মচারীদের বেতনের মধ্যে সাম্য আনার উপর জোর দিয়েছিল কমিশন।
♐৪) ন্যূনতম মাসিক বেতন বাড়িয়ে ১৮৫ টাকা করার সুপারিশ করেছিল কমিশন। সবমিলিয়ে প্রায় ৩০ লাখ কর্মচারী লাভবান হয়েছিলেন।
চতুর্থ বেতন কমিশন
𝐆১) ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৮৬ সালের ডিসেম্বর।
🌟২) চেয়ারম্যান ছিলেন পিএন সিংঘল। লাভবান হয়েছিলেন প্রায় ৩৫ লাখ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী।
🧜৩) ন্যূনতম মাসিক বেতন বাড়িয়ে ৭৫০ টাকা করা হোক, সুপারিশ করেছিল কমিশন।
♛৪) বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মচারীদের বেতনের মধ্যে বৈষম্য কমানোর উপরে জোর দিয়েছিল কমিশন। পারফরম্যান্স-লিঙ্কড বেতন কাঠামো চালু করা হয়েছিল।
পঞ্চম বেতন কমিশন
১) ১৯৯৪ সালের এপ্রিল থেকে ১৯৯৭ সালের জানুয়ারি।
ꩵ২) বিচারপতি এস রত্নাভেল পান্ডিয়ানের নেতৃত্বে পঞ্চম বেতন কমিশন গঠন করা হয়েছিল।
ꦿ৩) কমিশন সুপারিশ করেছিল যে ন্যূনতম বেতন বাড়িয়ে ২,৫৫০ টাকা করা হোক।
🌳৪) ৪০ লাখ সরকারি কর্মচারী উপকৃত হয়েছিলেন। পে স্কেলের সংখ্যা কমানোর সুপারিশ করেছিল কমিশন। জোর দেওয়া হয়েছিল সরকারি অফিসের আধুনিকীকরণের উপরে।
ষষ্ঠ বেতন কমিশন
১) ২০০৬ সালের অক্টোবর থেকে ২০০৮ সালের মার্চ।
✤২) বিচারপতি বিএন শ্রীকৃষ্ণের নেতৃত্বে সেই কমিশন গঠন করা হয়েছিল।
ꦫ৩) পে ব্যান্ড এবং গ্রেড পে চালু করা হয়েছিল। পারফরম্যান্স-ভিত্তিক ইনসেনটিভের উপরে জোর দিয়েছিল কমিশন।
🦩৪) ন্যূনতম বেতন ছিল মাসিক ৭,০০০ টাকা। আর সর্বোচ্চ বেতন মাসিক ৮০,০০০ টাকা ছিল। ৬০ লাখ কর্মচারী লাভবান হয়েছিলেন।
সপ্তম বেতন কমিশন
১) ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৬ সালের নভেম্বর।
ꦇ২) বিচারপতি একে মাথুরের নেতৃত্বে সপ্তম বেতন কমিশন গঠন করা হয়েছিল।
🐬৩) ন্যূনতম বেতন বাড়িয়ে ১৮,০০০ টাকা করা হয়েছিল। সর্বোচ্চ বেতন বেড়ে হয়েছিল ২,৫০,০০০ টাকা।
🧸৪) গ্রেড পে সিস্টেমের পরিবর্তে নয়া পে ম্যাট্রিক্সের সুপারিশ করা হয়েছিল। ভাতার উপরে জোর দিয়েছিল কমিশন। পেনশনভোগী-সহ এক কোটি কর্মচারী লাভবান হয়েছিলেন।