🍷 স্বাস্থ্য পরিষেবা সংক্রান্ত বিজ্ঞাপনে যদি কোনওরকমভাবে আমজনতাকে বিভ্রান্ত করা হয়, এবং সেই বিষয়ে যদি সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ না করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধেই এবার আদালত অবমাননার মামলা রুজু করা হবে। বুধবার স্পষ্টভাবে এবং কঠোর ভাষায় একথা জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
♈প্রসঙ্গত, এই ধরনের বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন, যেগুলির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট আইনের তোয়াক্কা না করে 'ম্য়াজিক দাওয়াই' দেওয়ার প্রতিশ্রুতি করা হয়, সেগুলির উপর সঠিক নজরদারি চালানো হচ্ছে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রবীণ আইনজীবী শাদন ফারাসত। একইসঙ্গে, তিনি এই ধরনের ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করারও আর্জি জানান। তার প্রেক্ষিতেই বুধবার শীর্ষ আদালত উপরোক্ত মন্তব্য করে বলে জানা গিয়েছে।
🎶ওই দিন বিচারপতি অভয় ওকা এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়ার বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলে। সেখানে বেঞ্চের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে বলা হয়, 'আমরা একটি বিষয় স্পষ্ট করে দিতে চাই, যেখানেই আমরা দেখব, রাজ্য সরকার বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসন এই ধরনের ঘটনায় যথাযথ পদক্ষেপ করেনি, আমরা সেই রাজ্য সরকার বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করব।'
🐽উল্লেখ্য, এই ধরনের বিভ্রান্তি রোধ করতে তিনটি বিশেষ আইন রয়েছে। কিন্তু, আদালত বন্ধু শাদন ফারাসতের অভিযোগ, বহু ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, ওই তিনটি আইন যে ব্যক্তি বা সংস্থাগুলি লঙ্ঘন করেছে, তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে গড়িমসি করছে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসন।
🦄এক্ষেত্রে যোগ প্রশিক্ষক তথা ব্যবসায়ী বাবা রামদেবের নাম উল্লেখ করেন ফারাসত। তিনি শীর্ষ আদালতকে জানান, উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বার জেলায় মুখ্য বিচার বিভাগীয় বিচারকের এজলাসে বাবাজির বিরুদ্ধে শুনানি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও, আজও তা ঝুলে রয়েছে।
ꦜফারাসত আরও অভিযোগ করেন, রামদেব মোটেও আইনি প্রক্রিয়ার সঙ্গে সহযোগিতা করছেন না। তাঁর বিরুদ্ধে ১৯৫৪ সালের ড্রাগস অ্য়ান্ড ম্যাজিক্যাল রেমিডিস আইনের অধীনে মামলা রুজু করা হয়েছে। অথচ, শুনানির জন্য নির্দিষ্ট গত সাতটি তারিখে তিনি আদালতে হাজিরা পর্যন্ত দেননি।
🅺যার ফলে শুধুমাত্র অভিযুক্ত উপস্থিত না থাকার ফলে ওই সাতদিনের মধ্যে পাঁচদিনই শুনানি স্থগিত করে দিতে হয়। এবং বাকি দুই সংশ্লিষ্ট বিচারকও ছুটিতে চলে যান!
🍨উল্লেখ্য, বাবা রামদেব ও তাঁর বিজনেস পার্টনার বালকৃষ্ণ গত বছরের ১৪ অগস্ট সুপ্রিম কোর্টে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
💎তাঁদের সংস্থা দিব্য ফার্মেসির এমন হাজারো 'ওষুধ' রয়েছে, যেগুলি নাকি ম্যাজিকের মতো কাজ করে! এই ভ্রান্ত দাবির কারণেই এই দু'জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা রুজু করা হয়েছিল। কিন্তু, অভিযুক্তরা ক্ষমা চাওয়ার পর সুপ্রিম কোর্ট কেবলমাত্র সেই মামলাটি বন্ধ করে দেয়।