উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ চলাকালীন নৌকার মাঝিদের বঞ্চনা করা হয়েছে। এই অভিযোগ তুলেছিল প্রধান বিরোধী দল সমাজবাদী পার্টি। আর সেই অভিযোগ এবার নস্যাৎ করে দিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। আর ভরা বিধানসভায় বড় ঘটনা সামনে নিয়ে এলেন। মহাকুম্ভের ৪৫ দিনে একটি মাঝির পরিবার ৩০ কোটি টাকা আয় করেছেন বলে দাবি করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। জানুয়ারি মাসের ১৩ তারিখ থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের ২৬ তারিখ পর্যন্ত চলেছে মহাকুম্ভ উৎসব। তাতেই এমন ঘটনা ঘটেছে বলে যোগীর দাবি। যা নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
বিরোধীরা বলছেন, পদপিষ্টের মতো ঘটনা থেকে নজর ঘোরাতেই এমন গল্প ফেঁদেছেন যোগী আদিত্যনাথ। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের বিধানসভায় দাঁড়িয়ে যে তথ্য দিয়েছেন যোগী তা নিয়ে এখন আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। বিরোধীরা এসব কথাকে আষাঢ়ে গল্প বললেও বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১৩০টি নৌকার মালিক এক নৌকা চালকের পরিবার মহাকুম্ভের সময় মাত্র ৪৫ দিনে মোট ৩০ কোটি টাকা আয় করেছে। তার অর্থ হচ্ছে, প্রত্যেকটি নৌকা ৪৫ দিনে ২৩ লক্ষ টাকা করে আয় করেছে। যা প্রত্যেকদিনের হিসাব করলে দাঁড়ায় ৫০ থেকে ৫২ হাজার টাকা।’
আরও পড়ুন: শতাধিক হোমগার্ড নিয়োগ হতে চলেছে কলকাতা পুলিশে, নবান্ন থেকে ছাড়পত্র পেল লালবাজার
যোগী আদিত্যনাথ এদিন বিধানসভায় রাজ্য বাজেট পেশ করেন। যেখানে কৃষক, যুব, মহিলা এবং গরিবদের জন্য নানা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। আর এই বাজেট পেশের সময়ই এমন গল্প শুনিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। যা বাস্তব বলে তাঁর দাবি। আর তাই যোগী আদিত্যনাথের বক্তব্য, ‘প্রয়াগরাজ সফরের সময় আমি ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলাম। মহাকুম্ভের সময় বিভিন্ন কর্মীদের অমূল্য অবদানের জন্য স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। আমি নৌকার মাঝি, পুলিশ কর্মী এবং নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য মহাকুম্ভ সাফল্য পেয়েছে। এই সরকার সবসময় মানুষের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। বিশেষ করে যাঁরা বঞ্চিত। আমাদের কাছে ভোটব্যাঙ্ক কোনও অস্ত্র নয়। এটা ঐতিহ্য, উত্তরাধিকার।’
এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ নৌকার মাঝির পরিবারের কথা তুলে ধরলেও তা মানতে নারাজ বিরোধীরা। তাই মুখ্যমন্ত্রীর তোপ, ‘বিরোধীরা শুধু ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করছে। অথচ আমরা দুর্বল অংশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। ২০১৭– ১৮ সালে আমদের প্রথম বাজেটে কৃষকদের উপর নজর দিয়েছিলাম। তারপর পরিকাঠামো, নারী ক্ষমতায়ন, যুবসমাজের জন্য কাজ করে চলেছে। বাজেটের মাধ্যমে আত্মনির্ভরতা এবং উন্নয়নের জন্য কাজ করে চলেছে আমাদের সরকার। ২০২৪–২৫ সালের বাজেট লোকমঙ্গল এবং রামরাজ্যের ধারণাকে গ্রহণ করেছে।’