🍸 ইসলামাবাদ, ঢাকার সখ্যতার মাঝেই বাংলাদেশের ইউনুস সরকার দাবি তুলেছিল, ১৯৭১ সালের গণহত্যার জন্য পাকিস্তানকে ক্ষমা চাইতে হবে। এখানেই শেষ নয়, পূর্ববর্তী অর্থের শেয়ার বাবদ পাকিস্তানের কাছ থেকে ৪.৫ বিলিয়ন ডলারও চেয়েছিল বাংলাদেশ। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার প্রথমবার বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের বিদেশ সচিব পর্যায়ের বৈঠক হয় দীর্ঘ ১৫ বছর পর। আর বৈঠক শেষে ক্ষমা বা ক্ষতিপূরণের কোনও উল্লেখই নেই পাকিস্তানের ভাষ্যে। এই অবস্থার মাঝেও মহম্মদ ইউনুসের উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, তুললেন পুরনো শত্রুদের পরে বন্ধু হওয়ার প্রসঙ্গ।
শুক্রবার, মহম্মদ ইউনুসের উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লিখছেন, সারা বিশ্বে পূর্ব শত্রুদের পরে বন্ধুতে পরিণত হওয়ার নানান উদাহরণের কথা। এক্ষেত্রে তিনি ফ্রান্স ও ইংল্যান্ডের কথা তোলেন। যারা দীর্ঘ শতাব্দী ধরে অসংখ্য যুদ্ধ করেছে। পরে আবার তারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হাত মিলিয়েছে। ওই যুদ্ধের প্রসঙ্গ ধরে তিনি বলেন, একই যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাপানে বোমা বর্ষণ করেছে। আবার পরে তারা হাতও মিলিয়েছে। মহম্মদ ইউনুসের ♛উপ প্রেস সচিবের বার্তা,' বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি কি পাকিস্তানপন্থী হয়ে যাচ্ছে? এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছি আমরা। এ ধরনের প্রশ্ন আমাদের মোটেও অবাক করেনি।' তিনি একইসঙ্গে লিখছেন,' এমন কিছু মানুষ সব সময়ই থাকবে, যারা বাংলাদেশের স্বাধীন পরিচয়ে খুব কমই বিশ্বাস করবে।' আবুল কালাম আজাদ মজুমদারের বার্তা,' আমাদের জবাব স্পষ্ট ছিল। অতীতে দেশের পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে যাই ঘটুক না কেন, এখন থেকে এটি বাংলাদেশপন্থী নীতি হবে, যা আমাদের নিজস্ব স্বার্থে পরিচালিত হবে।'
💮ইউনুসের উপ প্রেস সচিবের স্পষ্ট বার্তা, এক প্রতিবেশীকে খুশি রাখতে অন্য প্রতিবেশী থেকে দূরে সরে যাওয়া একটি স্বাধীন জাতির বিদেশ নীতি হতে পারে না বলে মন্তব্য করেন আজাদ মজুমদার। তিনি বলেন,আমনা বালুচকে দুই দেশের মধ্যকার অমীমাংসিত বিষয়গুলো স্মরণ করিয়ে দিয়েছে ঢাকা। তাঁর দাবি বাংলাদেশ সম্পদের বিভাজনের বিষয়টির ওপরও জোর দিয়েছে, যাতে জোর দেয়নি অতীতের শাসকরা।
মিলল না ক্ষমা বা ক্ষতিপূরণ:-
𓂃এদিকে, পাকিস্তানের বিদেশ সচিব সচিব আমনা বালুচের সঙ্গে বাংলাদেশের বিদেশ সচিব মো. জসীম উদ্দিনের বৈঠক হয় বৃহস্পতিবার। সেই বৈঠকের পর শুক্রবার পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ষষ্ঠবারের মত অনুষ্ঠিত হওয়া পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক সম্পর্কে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সেখানে জম্মু, কাশ্মীর ইস্যু থেকে গাজায় ইজরায়েলি হানা সহ নানান বিষয়ে কথা বার্তা হলেও, বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনার গণহত্যার প্রেক্ষিতে ইসলামাবাদের ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি নিয়ে বা বাংলাদেশের স্বাধীনতাপূর্ব অভিন্ন সম্পদের জন্য বকেয়া অর্থ দাবির বিষয়ের কোনও কথার উল্লেখ নেই বিজ্ঞপ্তিতে।