ভগবান পরশুরামকে ব্রহ্মাণ্ডের রক্ষক শ্রী হরি বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এছাড়াও, পরশুরাম এমন একজন দেবতা যিনি অমরত্ব লাভ করেছেন। বিশ্বাস꧅ করা হয় যে ভগবান পরশুরাম আজও পৃথিবীতে আছেন এবং কলিযুগের শেষ অবধি থাকবেন। তিনি ভগবান শিবের কাছ থেকে অমরত্বের আশীর্বাদ পেয়েছিলেন।
প্রতি বছর, বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথিতে ভগবান পরশুরামের জন্মবার্ষিকী পালিত হয়। এই বছর ২০২৫ সালে, তৃতীয𓆉়া তিথি ২৯ এপ্রিল বিকেল ৫ টা ৩১ মিনিটে শুরু হবে এবং ৩০ এপ্রিল দুপুর ২ টো ১২ মিনিট পর্যন্ত চলবে। যদিও হিন্দু ধর্মের বেশিরভাগ উৎসব উদয়তিথি অনুসারে পালিত হয়, কিন্তু ভগবান পরশুরাম প্রদোষ কালে অবতারিত হয়েছিলেন, তাই পরশুরাম জয়ন্তী মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে পালিত হবে।
ভগবান পরশুরামের উপাসনা সাহস এবং শক্তির আশীর্বাদ দেয় এবং ভয় দূর করে। জীবনে সাফল্য ও অগ্রগতির পথ খুলে যায়। ভগবান পরশুরাম খুব দ্রুত রেগে যান এবং রাগের বশে তিনি যেকোনও কিছু করতে পারেন। 𓆉কথিত আছে যে, ভগবান পরশুরাম একটি সংকল্প পূরণের জন্য ২১ বার ক্ষত্রিয় বংশ ধ্বংস করেছিলেন। আসুন জেনে নিই পরশুরামের ২১ বার ক্ষত্রিয়দের হত্যা করার কারণ কী ছিল।
একবার পরশুরাম ও সহস্ত্রার্জুনের মধ্যে যুদ্ধ হয়। সহস্ত্রার্জুন মাহিষ্টির সম্রাট হওয়ার জন্য খুব গর্বিত ছিলেন। সে ধর্মের সকল সীমা অতিক্রম করেছিল। তিনি ধর্মীয় গ্রন্থ, বেদ, পুরাণ, ব্রাহ্মণদের অপমান করেছিলেন এবং ঋষিদের আশ্রম ধ্বংস করেছিলেন। পরশুরাম তার কুঠার (অস্ত্র) নিয়ে সহস্ত্রার্জুনের নগরী মহিষমতিপুরীতে প🅠ৌঁছেছিলেন। এখানে সহস্ত্রার্জুন এবং পরশুরামের মধ্যে একটি যুদ্ধ সংঘটিত হয় যেখানে পরশুরামের অপরিসীম শক্তির কাছে সহস্ত্রার্জুন পরাজিত হন। পরশুরাম তার কুঠার দিয়ে সহস্ত্রার্জুনের হাজার হাজার বাহু এবং ধড়๊ কেটে ফেলেন।
সহস্ত্রার্জুনকে হত্যা করার পর, তার পিতার আদেশে, পরশুরাম হত্যার প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য তীর্থযাত্রায় যান। কিন্তু, সুযোগ পেয়ে, সহস্ত্রার্জুনের পুত্র অন্যান্য ক্ষত্রিয়দের সঙ্গে করে পরশুরামের ෴পিতা তপস্যারত মহর্ষি জমদগ্নির আশ্রমে পৌঁছন এবং তাকে শিরশ্ছেদ করে হত্🤡যা করে, আশ্রমটিও পুড়িয়ে দেয়। মা রেণুকা তাঁর পুত্র পরশুরামকে সাহায্যের জন্য বিলাপের সুরে ডাকতে থাকেন। মায়ের ডাক শুনে পরশুরাম আশ্রমে পৌঁছে দেখেন যে তার মা কাঁদছেন এবং তার কাছেই তার বাবার মাথা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে আছে এবং তার শরীরে ২১টি ক্ষত রয়েছে।
এটা দেখে পরশুরাম অত্যন্ত💦 ক্রুদ্ধ হয়ে ওঠেন এবং একই সঙ্গে তিনি শপথ নেন যে তিনি সহস্ত্রার্জুনের রাজবংশকে ধ্বংস করবেন এবং তাঁর মিত্র ক্ষত্রিয়দেরও ২১ বার হত্যা করবেন ও দেশকে ক্ষত্রিয়শূন্য করবেন। পুরাণ অনুসারে, এই কারণে পরশুরাম ২১ বার পৃথিবীকে ক্ষত্রিয়মুক্ত করে তাঁর সংকল্প পূর্ণ করেছিলেন।