ಌ দিন কয়েক আগেই অশান্তি ছড়িয়েছিল জঙ্গিপুরে। আপাতত কিছুটা হলেও স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফিরছে জঙ্গিপুরের বিভিন্ন এলাকা। তার মধ্য়েই জঙ্গিপুরের ধুলিয়ানে একটি দোকানে আগুন লাগার ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল পড়ে যায়। আগুন লাগানো হল নাকি সর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগল?
🅰প্রসঙ্গত গত ১১ এপ্রিল এই ধুলিয়ানেই ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে হিংসা ছড়িয়েছিল। ফের সেই ধুলিয়ানের দোকানে আগুন।
🎐দোকানের অন্যতম মালিক সৌরভ সাহা সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, দোকানে কসমেটিকস, জুয়েলারি ছিল। সকালে এসে দেখলাম সব পুড়ে গিয়েছে। ১০-১২ লাখ টাকার জিনিসপত্র ছিল। সব পুড়ে গিয়েছে। আমি তদন্ত চাই। যে বা যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তার তদন্ত চাইছি।
✨এদিকে সূত্রের খবর, এই দোকানটি ধুলিয়ান পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধানের ভাইয়ের। বুধবার সকালে সেখানে আগুন লাগে বলে খবর। ধুলিয়ান পুরসভা পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের জৈন কলোনির কাছে এই ঘটনা। একেবারে পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে দোকানটি। স্থানীয়দের চেষ্টায় দোকানে আগুন নেভানো হয়।
🍎প্রায় তিন কিমি দূরে মালিকের বাড়ি। তিনি খবর পেয়ে এসে দেখেন একেবারে পুড়ে গিয়েছে দোকানটি। স্টেশনারি নানা সামগ্রী ছিল দোকানের মধ্য়ে সব শেষ। এদিকে আগুন লাগার ঘটনাকে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
কয়েকদিন আগেই এই ধুলিয়ানে🔜ই বড় অশান্তি ছড়িয়েছিল। তার রেশ ফুরোতে না ফুরোতেই এবার আগুন দোকানে। তবে পুলিশ নির্দিষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে এনিয়ে কোনও রকম গুজব যাতে না ছড়ানো হয়। সেই সঙ্গেই পুলিশ কর্তার অনুরোধ গুজব ছড়াবেন না। গুজবে কান দেবেন না।
ꦜএদিকে ঘটনা নিয়ে নানা রটনা হচ্ছিল। এরপরই জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার পক্ষ থেকে আসল বিষয়টি অনুসন্ধানের জন্য় ফ্যাক্ট চেক করা হয়।
পুলিশের ফ্যাক্ট চেক
✨এরপরই পুলিশের তরফে সোশ্য়াল মিডিয়ায় জানিয়ে দেওয়া হয়, 'সামসেরগঞ্জে নতুন করে হিংসা ছড়়িয়েছে বলে খবর ছড়ানো হয়েছে। তবে তদন্তে নেমে দেখা গিয়েছে, দুর্ঘটনাবশত সামসেরগঞ্জ থানার অন্তর্গত ধুলিয়ান শহরে একটি দোকানে আগুন লাগে। ১৬ এপ্রিলের ঘটনা। এর সঙ্গে হিন্দু মুসলিম সংঘাতের কোনও ইস্য়ু নেই। একেবারে গুজব ছড়াবেন না। এর থেকে বাইরে থাকুন।' সাফ জানিয়ে দিয়েছে জঙ্গিপুরের পুলিশ।
ﷺসেই সঙ্গে পুড়ে যাওয়া দোকানের ছবিও দেওয়া হয়েছে পুলিশের তরফে। পুলিশের একাংশের অনুমান সম্ভবত সর্ট সার্কিট থেকে এই আগুন লেগেছিল। এর সঙ্গে হিংসার ঘটনার কোনও বিষয় নেই।