রাত পোহালেই ‘গুড ফ্রাই ডে’। আর ওইদিন উৎসব উপলক্ষ্যে আগামীকাল শুক্রবার সরকারি ছুটি। কিন্তু বেসরকারি অফিস–কাছারি সবই খোলা থাকবে। তবে স্কুল, কলেজ বন্ধ থাকবে। সেক্ষেত্রে তুলনামূলক রাজপথে নিত্যযাত্রীদের ভিড় কম থাকবে। রোজ যে ভিড় থাকে সেটা অনেকটা কমবে। তবে বেসরকারি অফিস–সংস্থা খোলা থাকায় পথে মানুষের উপস্থিতি থাকবে। এই কারণে কবি সুভাষ–দক্ষিণেশ্বর রুটে শুক্রবার ২৬২টির বদ✃লে সারাদিনে ২৩৬টি মেট্রো চলবে। সুতরাং গুড ফ্রাই𝕴 ডে’র জন্য নর্থ–সাউথ করিডরে আগামীকাল ২৬টি মেট্রো কম চলবে। প্রথম ও শেষ মেট্রোর সময়সূচি অপরিবর্তিত থাকবে।
এদিকে প্রত্যেকদিন ২৬২টি মেট্রো চলাচল করে কবি সুভাষ–দক্ষিণেশ্বর রুটে। গুড ফ্রাই ডে’র দিনে নর্থ–সাউথ করিডরে ১৮ এপ্রিল ২৬টি মেট্রো কম চলবে। দিনের প্রথম মেট্রো কবি সুভাষ এবং দক্ষিণেশ্বর স্টেশন থেকে যথাক্রমে সকালꦉ ৬টা ৫০ মিনিট ও সকাল ৬টা ৫৫ মিনিটে ছাড়বে। আর দিনের শেষ মেট্রো সংশ্লিষ্ট দুই স্টেশন থেকে যাত্রা করবে রাত সাড়ে ৯টা এবং রাত ৯টা ২৮ মিনিটে। তবে এদিন রাত সাড়ে ১০টায় কবি সু🦄ভাষ এবং দমদম স্টেশন থেকে নাইট স্পেশাল সার্ভিস চলবে। সুতরাং বেসরকারি সংস্থায় যাঁরা চাকরি করেন বা অন্য কোনও কাজে যাঁরা রাস্তায় বের হবেন তাঁদের যাতায়াতে খুব একটা সমস্যা হবে না।
আরও পড়ুন: ‘বিদ্যুতের জোগান বাড়লে দাম কমবে’, শালবনিবাসীকে এবার সুখবর দিলেন মমতা
অন্যদিকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদা পর্যন্ত রুটে শুক্রবার কমবে মেট্রো পরিষেবা। সপ্তাহের শুরু থেকে কাজের দিনগুলিতে ১০৬টি মেট্রো চলাচল করে এই রুটে। সেটাই শুক্রবার কমে হবে ৯০টি। তবে এখানেও দিনের প্রথম এবং শেষ মেট্রোর সময়সূচিতে কোনও পরিবর্তন করা হচ্ছে না। শিয়ালদা এবং সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে প্রথম মেট্রো ছাড়বে যথাক্রমে সকাল ৬টা ৫৫ মিনিট এবং সকাল ৭টা ৫ মিনিটে। আবার দিনের শেষ মেট্রো সংশ্লিষ্ট দুই প্রান্তিক স্টেশন থেকে ছাড়বে যথাক্রমে রাত ৯টা ৩৫ মিনিট এবং রাত ৯টা ৪০ মিনিটে। তবে বাকি তিনটি মেট্রো রুটে আগামীকাল পরিষেবা স্ব✃াভাবিক থাকবে।
এছাড়া মেট্রো কম চললে আয়ও কম হবে। তবে বেসরকারি সংস্থাগুলি গুড ফ্রাইডে বলে বন্ধ থাকছে না। এমনকী জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যাঁরা জড়িত তাঁরাও পথে নামবেন এবং মেট্রো পরিষেবা নেবেন। সেক্ষেত্রে একটা ভিড় থাকবেই। রোজকার মতো ভিড় থাকবে না। তাতে অসুবিধাও হবে না যাত্রীদের বলে মনে করছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। এখন𝕴 দেখার মেট্রো কম চললে অসুবিধা হয় কিনা। মেট্রো এখন নানা রুটে চালু হয়ে যাওয়ায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে মানুষ কলকাতা মেট্রোর উপরই বেশি নি꧟র্ভর করে।