𝓀 সরকারি হাসপাতালে সংক্রমিত স্যালাইন ব্যবহারের জেরে রোগীমৃত্যুর ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের কড়া ভর্ৎসনার মুখে পড়ল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম প্রশ্ন করেন, রোগীমৃত্যুর পরেও সংক্রমিত স্যালাইন ব্যবহার করতে সঙ্গে সঙ্গে কেন নোটিশ জারি করেনি স্বাস্থ্য দফতর? কেন অভিযুক্ত স্যালাইন নির্মাতা সংস্থার বিরুদ্ধে এখনও নোটিশ জারি করেনি রাজ্য? একই সঙ্গে এদিন নিহত প্রসূতির পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
🦩মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে সংক্রমিত স্যালাইন ব্যবহারের ফলে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। সেই মামলার শুনানিতে বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতির একের পর এক প্রশ্নের মুখে পড়েন রাজ্যে এটর্নি জেনারেল। এদিন প্রধান বিচাপতি প্রশ্ন করেন, যে সংস্থার বিরুদ্ধে নিম্নমানের স্যালাইন তৈরির অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে কি কোনও পদক্ষেপ করা হয়েছে? তাদের কি কোনও নোটিশ দিয়েছেন? জবাবে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, না দেওয়া হয়নি। পালটা যুক্তি দিয়ে রাজ্য বলে, ১টি ব্যাচের স্যালাইনে সমস্যা পাওয়া গিয়েছে। তাছাড়া এই সংস্থা দেশের বিভিন্ন রাজ্যে স্যালাইন সরবরাহ করে।
🍨এদিন প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, কোনও রেস্তোরাঁয় পচা মাংস পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে তার ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। নইলে সেই মাংস খেয়ে কেউ অসুস্থ হতে পারেন। তাহলে সংক্রমিত স্যালাইন বন্ধের নোটিশ জারি করতে এত সময় লাগল কেন? কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলার যখন ওই সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে তার মানে কিছু সমস্যা তো রয়েছেই।
ꦑএদিনের শুনানিতে নিহত প্রসূতির পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সঙ্গে রাজ্যের বক্তব্য জানিয়ে হলফনামা দিতে বলেছেন বিচারপতিরা। মামলার পরবর্তী শুনানি ৩০ জানুয়ারি।