কলকাতায় আবার হেলে পড়ল বহুতল বাড়ি। বাঘাযতীনের পর এবার ট্যাংরায় আজ বুধবার সকালে একটি নির্মীয়মাণ চারতলা ফ্ল্যাট বাড়ি হেলে পড়ে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়। কলকাতা পুরসভার ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডের ১১/২ ক্রিস্টোফার রোডের এই হেলে পড়া বাড়ির ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে খবর পেয়ে ঘটনা꧂স্থলে ছুটে এসেছে পুলিশ। হেলে পড়া বহুতলের ছবিও তুলেছেন তাঁরা মোবাইল ক্যামেরায়। তবে এটি নির্মীয়মাণ বাড়ি হওয়ার জেরে সেখানে কেউ ছিলেন না। তাই হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
এদিকে দীর্ঘদিন ধরে কাজ চলছিল এই বহুতলে। বাইরে প্রাথমিক কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু ভিতরের কাজ বাকি আছে। তারই মধ্যে আজ, বুধবার সকালে ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটে গেল। স্থানীয় বাসিন্দারা দেখেন, বহুতলটি একদিকে হেলে পড়েছে। আর তা ছুঁয়েছে আর একটি বাড়ি। বাঘাযতীন♔ের রেশ এখন কাটেনি। তাই ট্যাংরার ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পাশের বহুতলও এই দৃশ্য দেখে সেখানকার বাসিন্দারা ভয়ে রয়েছেন। কলকাতা পুরসভার টিম এখানে এসেছে। কেন এমন ঘটনা ঘটল? কার গাফিলতিতে বাড়ি সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই বিপত্তি ঘটল? সেই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: আবার পিছিয়ে গেল ‘কালীঘাটের কাকুর’ কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ, তাহলে কবে হবে?
অন্যদিকে দেখা যাচ্ছে, পাশের বহুতলটির একেবারে গা ঘেঁষে হেলে রয়েছে নির্মীয়মাণ বহুতলটি। সেখানে কোনও গ্যাপ নেই বললেই চলে। হেলে যাওয়া বাড়িটিতে রাজমিস্ত্রি যাঁরা কাজ করতেন তাঁরা থাকতেন। তবে তাঁরা অক্ষত আছেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, ২০২৪ সালে এই ঝাঁ–চকচকে বহুতলটির নির্মাণকাজ শুরু করে একটি প্রোমোটিং সংস্থা। দ্রুতই তা বেড়ে উঠে বহুতল আবাসনে পরিণত হচ্ছিল। কিন্তু নির্মাণকাজ চলাকালীনই সেটা হেলে পড়ায় আতঙ্কিত হন বাসিন্দারা। এখানে কলকাতা পুরসভার কোনও শর্তেই মানা হয়নি বলে এখন অভিযোগ উঠছে। কলকাতা প⭕ুরসভার বিল্ডিং বিভাগ এখন তা খতিয়𓆏ে দেখছে। আগে কেন দেখল না? উঠছে প্রশ্ন।
এছাড়া গত সপ্তাহে কলকাতা পুরসভার ৯৯ ওয়ার্ডে বাঘাযতীন এলাকায় বিদ্যাসাগর কলোনির একটি আবাসন হেলে পড়ে। নিচের তলা কার্যত ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। এই ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে কলকাতা পুরসভা জানিয়েছিল, অনুমতি ছাড়াই তৈরি হয়েছিল ওই বহুতল। আর এবার ট্যাংরার ঘটনায় স্থানীয় কাউন্সিলর সন্দীপন সাহা বলেন, ‘বিল্ডিংটি বেঁকে গিয়েছে। আমি বিল্ডিং ডিপার্টমেন্টকে জানাই বিষয়টি। তারা স্পটে গিয়ে পর্যবেক্ষণ করেছে। যাতে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে। বাঘাযতীনের ঘটনার পরও প্রোমোটাররা সতর্ক হচ্ছে না। দু’পয়সা লাভের জন্য সস্ত💧ার কাজ করছে।’