১৮তম ওভার শেষে দিল্লি ক্যাপিটালসের জয়ের জন্য ১২ বলে মাত্র ২৩ রান দরকার ছিল। হাতে ছিল তিন উইকেট। সহজ লক্ষ্য বললে এতটুকু অত্যুক্তি হবে না। ১৮.৩ ওভার পর্যন্ত দিল্লির পক্ষেই ছিল ম্যাচ। জসপ্রীত বুমরাহকে পরপর ২টি বাউন্ডারিও হাঁকিয়েছিলেন আশুতোষ শর্মা। শেষ ৯ বলে আর ১৫ রান করলেই জিতে যেত দিল্লি। বরং মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের চ্যালেঞ্🍬জটা সেই মুহূর্তে বেশ কঠিন ছিল। কিন্তু এর প✤রেই রয়েছে আসল টুইস্ট। বদলে গেল পুরো ম্যাচের রং।
আরও পড়ুন: পুরানের ছয়ে রক্তাক্ত দর্শক, যেতে হল হাসপাতালে, LSG-র জয়ের পর মাতলেন সে🦂লিব্রেশনে
১৯তম ওভারের শেষ তিন বলে রান-আউটের হ্যাটট্রিক হয়। আশুতোষ শর্মা, কুলদীপ যাদব, মোহিত শর্মা তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে পরপর তিনজন তিন বলে রানআউট হন। যার নিটফল, ১৯৩ রানে অলআউট হয়ে যায় দিল্লি ক্যাপিটালস। এই মরশুমে এটাই অক্ষর প্যাটেলের দিল্লির প্রথম হার। এদিকে দিল্লির ডেরায় গিয়ে ১২ রানে রোমহর্ষক জয় ছিনিয়ে নিয়ে আইপিএল ২০২৫-এ বড় অক্সিজেন পেল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। আইপিএলের ইতিহাস ঘাটলে দেখা যাবে, প্রথমে⛦ ব্যাট করে মুম্বই ২০০ পার করে গেলে, তাদের হারানো কঠিন। এখনও পর্যন্ত ২০০ বা তার বেশি রান করে আইপিএলের কোনও ম্যাচ হারেনি মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। এদিনও তাঁর অন্যথা হল না।
রোহিত, হার্দিকের ব্যর্থতার পরেও ২০০ পার করে মুম্বই
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমেছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ওপেন করতে নেমে ফের ব্যর্থ হন রোহিত শর্মা। তিনি যেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বোঝা হয়ে উঠেছেন। এদিন ১২ বলে ১৮ করে সাজঘরে ফেরেন হিটম্যান। তাঁর এই সংক্ষিপ্ত ইনিংসেও তিনি ১টি ছয়, দু'টি চার হাঁকান। রোহিত র🔥ান না পেলেও রিয়ান রিকেলটন দলের হাল ধরেছিলেন। মুম্বইয়ের দু'শোর বেশি রানের ভিত তৈরি করে দিয়েছিলেন রিকেলটন। ২টি ছক্কা এবং ৫টি চারের হাত ধরে ২৫ বলে ৪১ করেন তিন🎀ি। তিনে নেমে সূর্যকুমার যাদব ২৮ বলে ৪০ রান করেন। তিনিও ২টি ছয় এবং ৫টি চার মারেন। তবে চারে নেমে ৩টি ছয়, ছয়টি চারের হাত ধরে তিলক বর্মার ৩৩ বলে ৫৯ রানটা বড় অক্সিজেন হয় মুম্বইয়ের। এদিন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়াও (৪ বলে ২) ব্যর্থ হয়েছেন। তবে ছয়ে নেমে নমন ধীরে ১৭ বলে ৩৮ রানের হাত ধরে ২০০ টপকে যায় মুম্বই। নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে তারা ২০৫ রান করে। দিল্লির হয়ে বিপরাজ নিগম এবং কুলদীপ যাদব ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।
জলে গেল করুণের ৮৯
জবাবে রান তাড়া করতে নামলে, ইনিংসের প্রথম বলেই ধাক্কা খায় দিল্লি ক্যাপিটালস। জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ককে প্রথম বলেই খালি হাতে সাজঘরে ফেরান দীপক চাহার। এর পর অবশ্য অভিষেক পোড়েল এবং করুণ নায়ার মিলে দলের হাল ধরেছিলেন। তবে অভ𝓀িষেক কার্যত দর্শক হয়ে একদিকের উইকেট ধরে রেখেছিলেন, এদিকে আগ্রাসী মেজাজে পিটিয়ে চলেছিলেন করুণ নায়ার। তিনি ৪০ বলে ঝোড়ো ৮৯ রান করেন। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ৫টি ছক্কা এবং ১২টি চারে। অভিষেক পোড়েল অবশ্য ২৫ বলে ৩৩ করে করুণ নায়ারের আগেই আউট হয়ে যান। আর অভিষেকের কিছুক্ষণ পর সাজঘরে 🌳ফেরেন করুণ নায়ারও। পরপর দুই উইকেট হারিয়ে দিল্লি চাপে পড়ে যায়। এর পর আর দিল্লির কোনও ব্যাটার ক্রিজে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। কেএল রাহুল ১৫, আশুতোষ শর্মার ১৭ এবং বিপরাজ নিগমের ১৪ বাদ দিলে বাকিরা এক অঙ্কের ঘরেই গড়াগড়ি খেয়েছেন। ১৯ ওভারে ১৯৩ রানে অলআউট হয়ে যায় দিল্লি। মুম্বইয়ের হয়ে কর্ণ শর্মা ৩ উইকেট নিয়েছেন। ২ উইকেট নিয়েছেন মিচেল স্যান্টনার।