🐎 মাত্র ২২ বছর বয়সেই অবসর নিয়েছিলেন পাকিস্তানের পেসার ইহসানউল্লাহ। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নয় তিনি পাকিস্তান সুপার লিগ থেকে অবসর নিয়েছিলেন। এর কারণ হল তাঁকে পিএসএল সিজন ১০-এর ড্রাফটে নির্বাচিত করা হয়নি। তবে, তার অবসর ঘোষণা করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তিনি তার সিদ্ধান্ত পাল্টে ফেলেন। অর্থাৎ নিজের সিদ্ধান্ত থেকে U-টার্ন নিলেন ইহসানউল্লাহ। তিনি দাবি করেন যে সেই মুহূর্তের উত্তেজনার কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তিনি তাঁর এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পিছনের ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
🌠প্রথমে, ইহসানউল্লাহ তার ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের পরেও স্বীকৃতি না পাওয়ার জন্য হতাশা প্রকাশ করেছিলেন। যার ফলে তিনি পাকিস্তানের প্রধান টি-২০ প্রতিযোগিতা থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।তবে, ১৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ড্রাফটের পর একটি পাকিস্তানি মিডিয়া আউটলেটে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইহসানউল্লাহ জানান, তিনি তার অবসর সিদ্ধান্ত ভালভাবে ভাবনাচিন্তা না করেই নিয়ে ফেলেছিলেন। এবং এটি ছিল একটি আবেগপ্রবণ সিদ্ধান্ত।
🌠এই পেসার আরও দাবি করেছেন যে তাঁকে নিয়ে যারা সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন, তিনি তাদেরকে নিজেকে প্রমাণ করে দেখাতে চান। ইহসানউল্লাহ স্বীকার করে বলেছেন যে তার বন্ধু এবং পরিবারের সদস্যরা তার সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলেছিল। তিনি বলেন, ‘যখন আমাকে পিএসএল ড্রাফটে নেয়নি, তখন আমার বন্ধু এবং পরিবারও আমার মাথায় বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছিল, এবং আমি উত্তেজনার মধ্যেই অবসরের ঘোষণা করে ফেলেছিলাম।’
আরও পড়ুন… 𓆉Ranji Trophy 2024-25: অনুষ্টুপের নেতৃত্বে ঋদ্ধি-মুকেশদের হরিয়ানা বধের ছক, বাংলা দলের ঘোষণা করল CAB
⛎ইহসানউল্লাহ দৃঢ়ভাবে প্রতিজ্ঞা করেন যে তিনি কঠোর পরিশ্রম করবেন এবং ডোমেস্টিক ক্রিকেটে কামব্যাক করবেন, যাতে পরবর্তী সময়ে তাকে আবার দলে নেওয়া হয়। ইহসানউল্লাহর পিএসএল কেরিয়ার আশাব্যঞ্জক ছিল, তিনি পিএসএল ৮-এ মুলতান সুলতান্সের হয়ে ২২ উইকেট নিয়েছিলেন, যার ইকোনমি রেট ছিল ৭.৫৯, এবং তিনি পাকিস্তানের টি-২০ আন্তর্জাতিক দলে জায়গা পেয়েছিলেন।
🔜তবে, একটি কনুইয়ের চোট এবং তার পুনরুদ্ধারের জন্য বিতর্কিত চিকিৎসা পরিচালনার কারণে তার উন্নতি ব্যাহত হয়। কিছু মাস মাঠের বাইরে থাকার পর, তিনি চ্যাম্পিয়ন্স টি-২০ কাপের মাধ্যমে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরে আসেন। যা তার ফর্ম এবং ফিটনেস পুনরুদ্ধারে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল।