বৃহস্পতিবার ভোররাতে মুম্বইয়ে যে ঘটনা ঘটে গিয়েছে তাতে হতচকিত সকলেই🍎। এভাবে একজন অভিনেতার বাড়িতে এক ব্যক্তি প্রবেশ করে তাঁকে ꦦআহত করায় প্রশ্ন উঠেছে নিরাপত্তা নিয়ে। এবার এই একই সুর শোনা গেল করিনার গলায়। ঘটনার পর রাতে নীরবতা ভেঙে কী বললেন সইফ-পত্নী?
আরও পড়ুন: সইফের বাড়ি না জেনেই ꧒সেখানে ঢুকে পড়েন আততায়ী! কোথা দিয়ে প্রবেশ করে, কী কী জানা গেল তদন্তে?
কী লিখলেন করিনা কাপুর খান?
এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় করিনা কাপুর খান একটি পোস্ট করেন রাত্রিবেলা। সেখানে তিনি এদিনের ঘটনার বিষয়ে লেখ♔েন। করিনা তাঁর পোস্টে লেখেন, 'আজকের দিনটা আমাদের পরিবারের জন্য ভীষণ কঠিন, চ্যালেঞ্জিং একটা দিন ছিল। আমরা এখনও গোটা বিষয়টায় ধাতস্থ হয়ে উঠতে পারিনি। যেহেতু আমরা এখন একটা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি তাই আমি সম্মানের🍒 সঙ্গে, বিনম্রতার সঙ্গে মিডিয়া এবং পাপারাৎজিদের কাছে অনুরোধ করছি তাঁরা যেন অকারণ জল্পনা এবং কভারেজ না করেন।'
তিনি এদিন তাঁর পোস্টে আরও লেখেন, ' আমাদের জন্য এই চিন্ত🧜া, এই সমর্থনকে আমি বাহবা জানাচ্ছি, ধন্য এটার জন্য। কিন্তু এই লাগাতার নজরদারি চালানো, অ্যাটেনশন দেওয়া কিন্তু আমাদের নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করছে। আমি তাই অনুরোধ করছি যাতে আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে বেশি না ঢোকেন, এই জায়গাটা দেন এবং পরিবারের হিসেবে এই কঠিন সময়টা আমাদের কাটিয়ে উঠতে একটু সময় দিন। আশা করব এই সংবেদনশীল সময়ে আপনারা বুঝবেন, পাশে থেকে সাহায্য করবেন।'
কী ঘটেছে সইফ আলি খানের সঙ্গে?
এদিন পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে এই ব্যক্তি সইফ আলি খান বান্দ্𓆏রার যে বাড়িতে থাকেন সেই বাড়ির যে ইমারজেন্সি ফায়ার এক্সিট আছে সেখান দিয়ে প্রবেশ করেছে। সেই দরজা নাকি খোলা ছিল এদিন। এই বিল্ডিংয়ের পিছনে থাকা সিঁড়ি দিয়েই নাকি তিন সেই ফায়ার এক্সিটে পৌঁছেছিলেন। তবে এদিন এও জানা গিয়েছে যে বাড়ির নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বাড়ির পিছনের দিকে অনেক খামতি আছে। তবুও সিসিটিভি ফুটেজ থেকে সেই ব্যক্তির ছবি পেয়েছে পুলিশ। সেই ব্যক্তি যখন পালাচ্ছিল এই কাণ্ড ঘটিয়ে তখনই তাকে সিসিটিভিতে দেখা যায়। এই বিষয়ে বলে রাখা ভালো, এই বান্দ্রার এই বাড়ির চারটি তলা জুড়ে থাকেন সইফ এবং করিনা। আর এটা কার বাড়ি না জেনেই নাকি সেই ব্যক্তি এখানে ঢুকে পড়েছিলেন। যদিও তাঁকে এখনও ধরা যায়নি।
সইফ আলি খানের বাড়ির এক পরিচারিকা এলিমা ফিলিপস ওরফে লিমা সেই মুহূর্তে বাড়িতে ছিলেন। তিনিই প্রথম অভিযুক্ত তথা আততায়ীকে দেখতেꦯ পান যখন সে ওই ফ্ল্যাটে ঢোকার চেষ্টা করছিল। তিনি তাকে থামানোর চেষ্টা করেন, এবং স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর সঙ্গে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় সেই ব্যক্তির। আর ঘটনাচক্রে তিনি হাতে আঘাত পান। তাঁর চিৎকার, চেঁচামেচি শুনেই নাকি তখন সেখানে দৌড়ে আসেন সইফ আলি খান। এরপরই সইফ আলি খানের সঙ্গে সেই ব্যক্তির হাতাহাতি শুরু হয়। সেই ব্যক্তির হাতে ধারাল কিছু অস্ত্র ছিল। সেটা দিয়েই তিনি অভিনেতার উপর আক্রমণ চালান, এরপর রক্তাক্ত অভিনেতাকে মধ্যরাতে তড়িঘড়ি করে লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।