গাজায় ১৫ মাস ধরে চলা যুদ্ধ অবসানের লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করল ইজরায়েলি সরকার। বেশ খানিকটা টালবাহানার পরে শনিবার হামাসের সাথে যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন করেছে ইজরায়েলের নেতানিয়াহুর সরকার। শনিবার ছয় ঘণ্টারও বেশি আলোচনার পরে শেষ পর্যন্ত এই যুদ্ধবিরতির পক্ষে সায় দেয় ইজরায়েলি ক্যাবিনেট। এদিকে ক্যাবিনেট বৈঠকে অতি ডানপন্থী কয়েকজন মন্ত্রী এই যুদ্ধবিরতির বিপক্ষে ভোট দেন। তবে সব মিলিয়ে নেতানিয়াহুর ক্যাবিনেটের ২৪ জন সদস্য এই যুদ্ধবিরতির পক্ষে ভোট দেন এবং তাতে অনুমোদন পায় সেটি। এর আগে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে ক্যাবিনেটের আলোচনা পিছিয়ে দিয়েছিলেন নেতানিয়াহু। (আরও পড়ুন: ♛সপ্তম চেষ্টাতেও কেন ভেঙে পড়ে স্টারশিপ? স্পেসএক্স রকেটের 'রোগ' ধরলেন মাস্ক)
আরও পড়ুন: 🍸মহাকাশে কীভাবে স্যাটেলাইট ডকিং? ভিডিয়ো প্রকাশ ইসরোর, কী বার্তা নয়া ডিরেক্টরের?
শিশু, ৫০ বছরের বেশি বয়সি নারী, পুরুষ সহ মোট ৩৩ জন ইজরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দেবে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে। এর বিনিময়ে ইজরায়েলি জেলে বন্দি থাকা ১৯ বছরের কম বয়সি প্যালেস্তিনীয় কিশোর-কিশোরী এবং শিশুদের মুক্তি দেবে নেতানিয়াহু সরকার। এদিকে এই যুদ্ধিরতি চুক্তির ফলে নেতানিয়াহুর গদি টলমল। গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইজরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী তথা নেতানিয়াহুর জোটসঙ্গী ইটামার বেন গভির নেতানিয়াহুর সঙ্গ ত্যাগের হুমকি দিয়েছেন। এদিকে চুক্তি নিয়ে সন্দিহান অপর এক কট্টরপন্থী নেতা তথা বর্তমান সরকারের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ। উল্লেখ্য, স্মোট্রিচ এবং গভির যদি সরকার থেকে সমর্থন তুলে নেয়, তাহলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাবেন বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। (আরও পড়ুন: ꧋RG Kar LIVE: আজ রায়দান আরজি কর মামলায়, চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনে ফাঁসি হবে সঞ্জয়ের?)
ওএর আগে কাতারের দোহায় দীর্ঘ ৯৬ ঘণ্টার আলোচনার পরে এই যুদ্ধবিরতির জন্যে ইজরায়েল এবং হামাসকে রাজি করানো হয়। রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৯ জানুয়ারি থেকে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে পারে। প্রাথমিক ভাবে ৬ সপ্তাহ এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকবে। যুদ্ধবিরতির সময় দুই পক্ষই অনেক বন্দিদের ছেড়ে দেবে। এদিকে হামাসের তরফ থেকে বেশ কিছু অপহৃতদের মুক্তি দেওয়া হবে। অপরদিকে তাদের জেলে থাকা কিশোর-কিশোরীদের ছাড়বে ইজরায়েলও। এছাড়া গাজায় যেখানে সাধারণ মানুষের বাস, সেখান থেকে ইজরায়েল সেনা প্রত্যাহার করবে। পাশাপাশি ত্রাণ অভিযানে ইজরায়েল বাধা সৃষ্টি করবে না। উল্লেখ্য, এখনও গাজায় প্রায় ১০০ জন ইজরায়েলি বন্দি আছে হামাসের হাতে। যদিও তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।