মা এবং মেয়ের সম্পর্ক পৃথিবীর সবচেয়ে বিশেষ এবং সুন্দর সম্পর্কগুলোর মধ্যে একটি। মা হলেন মেয়ের প্রথম বন্ধু, যিনি তাকে জীবনের উত্থান-পতনের জন্য প্রস্তꩲুত করেন। এই কไারণেই বলা হয় যে একজন মেয়ের ব্যক্তিত্বের উপর একজন মায়ের গভীর প্রভাব সবচেয়ে বেশি। মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে সম্পর্কের ভিত্তি যে মায়ের ভালোবাসা এবং লালন-পালন করে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু কখনও কখনও একজন মায়ের অতিরিক্ত ভালোবাসা, উদ্বেগ এবং হস্তক্ষেপ অসাবধানতাবশত তার মেয়ের এবং তার শ্বশুরবাড়ির লোকদের মধ্যে নাজুক সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। মা যদি একটু সতর্ক না হন, তাহলে তার নতুন বাড়িতে মেয়ের সম্পর্ক জটিল হয়ে উঠতে পারে এবং তার ফুলে ফেঁপে ওঠা পৃথিবী ভেঙে পড়তে পারে। আসুন জেনে নিই একজন মায়ের কোন ভুলগুলো এড়িয়ে চলা উচিত যাতে তার মেয়ের নতুন জীবন সুখে ভরে ওঠে।
মেয়ের শ্বশুরবাড়ির ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করা
যখনই কোনও মেয়ে তার শ্বশুরবাড়ির সম্পর্কে কিছু শেয়ার করে, তখনই একজন মা তাকে তাৎক্ষণিকভাবে বাঁচাতে চান অথবা সমাধান দিতে চান। কিন্তু কখনও কখনও এই হস্তক্ষেপ শ্বশুরবাড়ির লোকদের খারাপ লাগতে পারে। বারবার জিজ্ঞাসাবাদ করা, কে কী খেয়েছে, কী পরেছে, কে কী বলছে তা জানার চেষ্টা করা; এই সবকিছুই মেয়ের জ🎶ন্যও অস্বস্তিকর হতে পারে। তাই এই ধরনের কথা বলা থেকে বিরত থাকুন। যদি আপনার মেয়ে আপনার সাথে কিছু শেয়ার করে, তাহলে প্রথমে সে কী বলছে তা বুঝুন এবং প্রয়োজনে তাকে আলতো করে পথ দেখান। কিন্তু সিদ্ধান্তটা তার উপর ছেড়ে দিন, আপনার মতা🍰মত আপনার মেয়ের উপর চাপিয়ে দেবেন না।
মেয়েকে বারবার মাতৃগৃহে ডাকা
যেকোনো বাবা-মায়ের কাছে, তাদের মেয়েকে দূরে ঠেলে দেওয়া মানে হৃদয়ে পাথর ঠেকিয়ে দেওয়া। এমন পরিস্থিতিতে, একজন মা চান তার মেয়ে যেন তার বাবা-মায়ের বাড়িতে ঘন ঘন যায় যাতে সে একাকী বোধ না করে। কিন্তু বারবার বাবা-মায়ের বাড়িতে ফোন করার কারণে, মেয়েটি তার শ্বশুরবাড়ির পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারছে না। এটি তার এবং তার স্বামীর সম্পর্কে☂র উপরও প্রভাব ফেলতে পারে। যদিও তার বাবা-মায়ের বাড়ি তার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, এখন তার শ্বশুরবাড়ির প্রতিও কিছু দায়িত্ব রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, তাকে তার শ্বশুরবাড়িতে তার নিজস্ব পরিচয় এবং স্থান তৈরি করতে দিন এবং বারবার তাকে♉ তার বাবা-মায়ের বাড়িতে ডাকা এড়িয়ে চলুন।
শ্বশুরবাড়ির লোকদের সম্পর্কে খারাপ কথা বলা বা অবিশ্বাস প্রকাশ
অনেক সময় যখন কোনও মেয়ে তার শ্বশুরবাড়ির সাথে সম্পর্কিত কোনও বিষয়ে অভไিযোগ করে, তখন অনেক মা পুরো ঘটনাটি না জেনেই তাদের শ্বশুরবাড়ির লোকদের সম্পর্কে খারাপ কথা বলতে শুরু করেন। এতে করে মেয়ের মনে শ্বশুরবাড়ির লোকদের সম্পর্কে নেতিবাচক অনুভূতি তৈরি হতে শুরু করে। অতএব, যখনই কোনও মেয়ে তার শ্বশুরবাড়ির সাথে সম্পর্কিত কোনও সমস্যা নিয়ে আসে, তখন মায়ের উচিত কেবল তাকে আবেগগতভাবে সমর্থন করা নয়, বরং পরিবারকে একত্রিত রাখার বিষয়গুলিও তাকে ব্যাখ্যা করা।
নিজের চিন্তাভাবনা অনুযায়ী মেয়ের জীবন চালানোর চেষ্টা
'আমাদের সময়ে এটা হত না', 'তুমি এমন আচরণ করছো কেন', 'তার এভাবেই উত্তর দেওয়া উচিত ছিল'; এগুলো এমন কিছু জিনিস, যেগুলো যদি একজন মা তার মেয়েকে বারবার বলেন𓃲, তাহলে কোথাও না কোথাও মেয়ের আত্মবিশ্বাস দুর্বল হতে শুরু করে। প্রতিটি মায়ের বোঝা উচিত যে প্রতিটি প্রজন্মের চিন্তাভাবনা এবং সমস্যা আলাদা। আপনার মতামত প্রকাশ করা ঠিক আছে কিন্তু জোর করে আপনার মেয়ের উপর আপনার মতামত চাপিয়ে দেওয়া♉ ঠিক নয়।
অতিরিক্ত স্নেহ প্রদর্শন
প্রতিটি বাবা-মায়ের কাছে, তাদের সন্তানরা সবচেয়ে প্রিয় এবং কন্যারা বাবা-মায়ের হৃদয়ের খুব কাছের। কিন্তু একবার আপনার মেয়ের বিয়ে হয়ে গেলে, তার অতিরিক্ত যত্ন নেওয়া বা তার প্রতি স্নেহ প্রদর্শন করা ঠিক নয়। অনেক বাবা-মায়েরই অভ্যাস আছে যে তারা তাদের মেয়ের বিয়ের𒀰 পরেও তাকে রক্ষা করার জন্য সেখানে দাঁড়িয়ে থাকে। কিন্তু বাবা-মায়ের এই অভ্যাস ঠিক নয়। তোমার মেয়ের সুখ-দুঃখে পাশে দাঁড়ানো উচিত, কিন্তু তাকে নিজের উপর নির্ভরশীলও থাকতে দেওয়া উচিত। একজন মায়ের দায়িত্ব হলো তার মেয়েকে জীবনের যাত্রায় হাঁটার জন্য শক্তিশালী করে তোলা।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি প্রাথমিক ভাবে অ🏅ন্য ভাষায় প্রকাশিত। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির মাধ্যমে এটির বাংলা তরজমা করা হয়েছে। HT বাংলার তরফে চেষ্টা করা হয়েছে, বিষয়টির গুরুত্ব অনুযায়ী নির্ভুল ভাবে পরিবেশন করার। এর পরেও ভাষান্তরের ত্রুটি থাকলে, তা ক্ষমার্হ এবং পাঠকের মার্জনা প্রার্থনীয়।