বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থায় একাধিক পরিবর্তনের সুপারিশ করা হয়েছে সংস্কার কমিশনের তরফ থেকে। জানা গিয়েছে, সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশ নিয়ে এখন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে অন্তর্বর্তী সরকার। রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারত, আমেরিকার মতো বাংলাদেশ সংসদকে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট করার সুপারিশ করেছে সংস্কার কমিশন। এর মধ্যে নিম্নকক্ষকে জাতীয় সংসদ বা ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি বলা হবে। এবং উচ্চকক্ষকে সেনেট বলে ডাকা হবে। সংসদের মেয়াদ ৪ বছর করার সুপারিশ করা হয়েছে। এদিকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদে কোনও ব্যক্তি দু'বারের বেশি থাকতে পারবেন না বলে সুপারিশ করা হয়েছে। এদিকে সুপারিশ অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় সেই নেতা কোনও রাজনৈতিক দলের প্রধান এবং সংসদ নেতা হতে পারবেন না। (আরও পড়ুন: সাংবিধানিক সংস্কারে বাংলাদেশের নাম বদলের সুপারিশ, কী হতে🐽 পারে নয়া নাম?)
আরও পড়ুন: আদানি, SEBI প্রধানকে নিয়ে বিস্ফোরক সব দাবি করা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ বন্ধ হচ🍬্ছে
উল্লেখ্য, আমেরিকার সংবিধানে বলা আছে, কোনও এক প্রেসিডেন্ট দু'বারের বেশি সেই পদে থাকতে পারবেন না। ১৯৩০-এর দশক এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ফ্র্যাঙ্কলিন ডি রুজভেল্টের পরে এই সংক্রান্ত সংশোধনী আনা হয়েছিল মার্কিন সংবিধানে। এবার সেই পথে হেঁটে বাংলাদেশেও প্রধানমন্ত্রী পদে থাকার সময়কাল সীমাবদ্ধ করার সুপারিশ করা হয়েছে। (আরও পড়ুন: টানা ৯৬ ঘণ্টার আলোচনা, ট্রাম্পকে কৃতিত্ব বাইডেনের, গাজায় কবে থেকে য꧙ুদ্ধবিরতি?)
এদিকে শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের সংসদের মেয়াদ বদলেরও সুপারিশ করা হয়েছে। এর আগে ভারতেরই মতো বাংলাদেশের꧟ সংসদের মেয়াদ ছিল ৫ বছর। যদিও আমেরিকার কংগ্রেসে নিম্ন এবং উচ্চকক্ষের মেয়াদ আলাদা আলাদা। তবে বাংলাদেশের সংসদের মেয়াদ ৪ বছর করার সুপারিশ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্টের মেয়াদকাল ৪ বছর থাকে। এদিকে এর আগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে সংসদ সদস্য হতেই হত। সেখানেও বদলের প্রস্তাব করা হয়েছে। কতকটা মার্কিন প্রেসিডেন্টের মতোই বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রীর সংসদের সঙ্গে কোনও 'যোগ' থাকতে পারবে না বলে সুপারিশ করা হয়েছে। এমনকী প্রধানমন্ত্রী কোনও রাজনৈতিক দলের নেতাও হতে পারবেন না।
তাছাড়া সংসদীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ন্যূনতম বয়স কমিয়ে ২১ বছর করার সুপারিশ করা হয়েছে কমিশনের তরফ থেকে। এদিকে বাংলাদেশি নির্বাচনে ইভিএমের ব্যবহার বাতিলের সু🍸পারিশ করা হয়েছ☂ে। এদিকে কোনও আসনে যদি মোট ভোটারের ৪০ শতাংশ ভোট না পড়ে, তাহলে সেই আসনের নির্বাচন বাতিল করে পুননির্বাচনের সুপারিশ করা হয়েছে।
এদিকে জাতীয় নির্বাচনের পাশাপাশি স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে ♈বলে সম্প্রতি জানান বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। এরই মাঝে অবশ্য বিএনপি সাফ কথায় জানিয়ে দিয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচন মানবে না তারা। এই আবহে বাংলাদেশে নতুন করে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। উল্লেখ্য, শেখ হাসিনার আওয়ামি লিগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের সবথেকে বড় রাজনৈতিক দল এখন বিএনপি। এই আবহে বিএনপি চেয়েছিল, হাসিনার প♚তনের পরে অতি শীঘ্রই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। তবে মহম্মদ ইউনুস এর মধ্যে ভোট করাবেন না। এই আবহে বিএনপির সঙ্গে ইতিমধ্যেই বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে বর্তমান সরকারের। আর এখন সংবিধান সংস্কার সুপারিশের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থাতেই আমূল পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে।