ইতিমধ্যেই কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা করেছেন জাস্টিন ট্রুডো। এই আবহে লিবারেল পার্টির পরবর্তী প্রধান এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদে বসতে চলা পরবর্তীর ব্যক্তির খোঁজ জারি আছে। এই সবের মাঝেই কানাডার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্যে মনোনয়ন পেশ করলেন ভারতী বংশোদ্ভূত লিবারেল সাংসদ চন্দ্র আর্য্য। উল্লেখ্য, খলিস্তানি ইস্যুতে বারংবার ট্রুডোর বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন চন্দ্র। এহেন চন্দ্র কানাডার সংসদে উঠে নিজের মাতৃভাষা কন্নড়ে বক্তৃতা রাখেন। (আরও পড়ুন: 🅠নড়বড়ে নেতানিয়াহুর গদি, গাজায় নিহত আরও ৭২, যুদ্ধবিরতি নিয়ে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি…)
আরও পড়ুন: 🦹'ইতিবাচক পদক্ষেপ,তবে অধ্যায় শেষ হয়নি', পান্নুনকাণ্ডে ভারতকে বার্তা মার্কিন দূতের
এর আগে সাম্প্রতিক একাধিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল, ট্রুডোর জনসমর্থন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এই আবহে সংখ্যালঘু সরকার চালাচ্ছিলেন তিনি। তবে আসন্ন নির্বাচনের আগে তিনি লিবারেল পার্টির প্রধানের পদ এবং প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়ার ঘোষণা করেন তিনি। ট্রুডো জানান, লিবারেল পার্টির পরবর্তী প্রধান নির্বাচিত হলেই তিনি গদি থেকে নেমে যাবেন। উল্লেখ্য, লিবারেল পার্টির প্রধানই কানাডার প্রধানমন্ত্রী হবেন এখন। (আরও পড়ুন: ♐'মোদীতে নিজেকে দেখতে পান ট্রাম্প…', আর কী কী ভাবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট)
আরও পড়ুন: ﷽'তুমি ক্রিমিনাল…', মার্কিন বিদেশ সচিবের সামনে থেকে টেনে নিয়ে যাওয়া হল সাংবদিককে
♐উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে লিবারেল পার্টির প্রধান হয়েছিলেন ট্রুডো। সেই সময় তাঁর দলের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। কানাডার সংসদে প্রথমবারের মতো লিবারেল পার্টি তৃতীয় স্থানে নেমে গিয়েছিল। সেখান থেকে ২০১৫ সালে ট্রুডোর নেতৃত্বে ক্ষমতায় এসেছিল লিবারেল পার্টি। ট্রু়ডো কানাডার ২৩তম প্রধানমন্ত্রী হন। এরপর থেকে টানা প্রায় এক দশক তিনি গদিতে আছেন। তবে ক্রমেই তাঁর জনপ্রিয়তা কমেছে। এই আবহে আসন্ন নির্বাচনে তাঁর দলের হার প্রায় নিশ্চিত বলেই দাবি করা হচ্ছে বিভিন্ন জনমত সমীক্ষায়। তার আগে তিনি দলের প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা করেন ট্রুডো। আর সেই সুযোগে কানাডার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে সামিল হলেন চন্দ্র। এর আগে নিজের দলের সরকারের বেশ কিছু নীতি এবং সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেও কথা বলতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। তিনি কর্ণাটকের টুমকুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
꧅ট্রুডো যেখানে খলিস্তানিদের 'সমর্থক' হিসেবে পরিচিত ছিলেন। সেখানেই চন্দ্র আবার খলিস্তানি বিরোধী। সম্প্রতি, ১৯৮৪ সালে ভারতে শিখ বিরোধী দাঙ্গাকে 'গণহত্যা' আখ্যা দেওয়ার প্রস্তাব পেশ করা হয়েছিল কানাডার সংসদে। সেদেশের নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টি এই প্রস্তাব পেশ করেছিল এই প্রস্তাব। বিগত কয়েক বছর ধরে কানাডার রাজনীতিতে যেভাবে পরোক্ষ এবং প্রত্যক্ষ ভাবে খলিস্তানিদের প্রভাব বেড়েছে। এই আবহে কানাডার সংসদে এই ধরনের প্রস্তাব অবাক করে দেওয়ার মতো নয়। বরং সেই প্রস্তাব প্রত্যাখান হওয়াই যেন কিছুটা অবাক করে দেওয়ার মতো ঘটনা ছিল। এবং সেটাই করে দেখান কানাডিয়ান সাংসদ চন্দ্র আর্য্য। পরে এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে চন্দ্র দাবি করেন, এই প্রস্তাব সময় সংসদে উপস্থিত সাংসদদের মধ্যে একমাত্র তিনিই এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন। এর জেরে এই প্রস্তাবটি আটকে যায়।