দীর্ঘ টালবাহানার পরে ইজরায়েলি ক্যাবিনেটের অনুমোদন পায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি। আজ, ১৯ জানুয়ারি থেকেই তা কার্যকর হওয়ার কথা। তবে সেই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার আগেই তা ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। দেখা দিয়েছে জটিলতা। বন্দি মুক্তি নিয়ে দুই পক্ষের মতপার্থক্যের জেরেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই আবহে শনিবার রাতেই ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু নতুন করে হুঁশিয়ারি দেন, যে যে বন্দিদের হামাস মুক্তি দেবে, তাঁদের সকলের নামের তালিকা আগে দিতে হবে, তাহলেই যুদ্ধবিরতি চুক্তি মানবে ইজরায়েল। নয়ত সেই চুক্তি মানবে না তারা। (আরও পড়ুন: ܫ'দিল্লির বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন', গলাবাজি বাংলাদেশে, গভীর রাতে যা হল...)
ღউল্লেখ্য, চুক্তি অনুযায়ী কাতারের মধ্যস্থতাকারীদের কাছে ইজরায়েলি বন্দিদের নামের তালিকা তুলে দেওয়ার কথা ছিল হামাসের। তবে সেই কাজের জন্যে নির্ধারিত সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও তা করেনি হামাস। এই আবহে ডেডলাইনের তিন ঘণ্টা পরে যুদ্ধবিরতি না মানার হুমকি দেন ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী। এর আগে কাতারের মধ্যস্থতাকারীরা ঘোষণা করেছিল, ১৯ জানুয়ারি স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টা থেকে গাজায় এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। তবে পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে, তাতে ফের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
𒉰এর আগে ১৭ জানুয়ারি হামাসের সাথে যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন করে ইজরায়েলের নেতানিয়াহুর সরকার। সেদিন ছয় ঘণ্টারও বেশি আলোচনার পরে শেষ পর্যন্ত এই যুদ্ধবিরতির পক্ষে সায় দেয় ইজরায়েলি ক্যাবিনেট। এদিকে ক্যাবিনেট বৈঠকে অতি ডানপন্থী কয়েকজন মন্ত্রী এই যুদ্ধবিরতির বিপক্ষে ভোট দেন। তবে সব মিলিয়ে নেতানিয়াহুর ক্যাবিনেটের ২৪ জন সদস্য এই যুদ্ধবিরতির পক্ষে ভোট দেন এবং তাতে অনুমোদন পায় সেটি। চুক্তি অনুযায়ী শিশু, ৫০ বছরের বেশি বয়সি নারী, পুরুষ সহ মোট ৩৩ জন ইজরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দেওয়ার কথা হামাসের।
𝓀এর আগে কাতারের দোহায় দীর্ঘ ৯৬ ঘণ্টার আলোচনার পরে এই যুদ্ধবিরতির জন্যে ইজরায়েল এবং হামাসকে রাজি করানো হয়। প্রাথমিক ভাবে ৬ সপ্তাহ এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকবে। যুদ্ধবিরতির সময় দুই পক্ষই অনেক বন্দিদের ছেড়ে দেবে। একদিকে হামাসের তরফ থেকে বেশ কিছু অপহৃতদের মুক্তি দেওয়া হবে। অপরদিকে তাদের জেলে থাকা কিশোর-কিশোরীদের ছাড়বে ইজরায়েলও। এছাড়া গাজায় যেখানে সাধারণ মানুষের বাস, সেখান থেকে ইজরায়েল সেনা প্রত্যাহার করবে। পাশাপাশি ত্রাণ অভিযানে ইজরায়েল বাধা সৃষ্টি করবে না। উল্লেখ্য, এখনও গাজায় প্রায় ১০০ জন ইজরায়েলি বন্দি আছে হামাসের হাতে। যদিও তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।