ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল গত শনিবার। রোদে শুকনো হওয়ার জন্য বাড়ির বারান্দায় মিলে রাখা মহিলাদের অন্তর্বাস হঠাৎই হাওয়া হয়ে যায়! প্রথম দিন বিষয়টিকে পরিবারের সদস্যরা তেমন পাত্তা দেননি। ভেবেছেন, হয়তো হাওয়ায় উড়ে গিয়েছে কোনওভাবে। কিন্তু, গত রবিবারও একই ঘটনা ঘটে। এতে সন্দেহ হয় ওই বাড়ির সদস্যদের। তাঁরা বাড়িতে লাগানো সি🌞সিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখেন। তাতেই ধরা পড়ে আজব দৃশ্য!
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, এক যুবক পরপর দু'দিনই ওই অন্তর্বাসগুলি বাড়ির বারান্দা থেকে তুলে নিয়ে যান! এমন দৃশ্য দ🥃েখে স্তম্ভিত হয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। এরꦓপর থেকেই তাঁরা সতর্ক ছিলেন। অভিযোগ, গতকাল (বৃহস্পতিবার - ১০ এপ্রিল, ২০২৫) আবারও ওই যুবক বাইক নিয়ে আসেন। হাত বাড়িয়ে বাড়ির বারান্দায় শুকোতে দেওয়া মহিলাদের অন্তর্বাসগুলি তুলে নেন।
এরপরই বাইরে বেরিয়ে আসেন পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের চেঁচামিচিতে বাকিরাও জুটে যায়। সকলে মিলে তাড়া করে ওই যুবককে ধরে ফেলেন। এরপর অভিযুক্তকে এলাকারই একটি গাছের গুঁড়ির সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। এই ফাঁকে বেশ কয়েকজন তাঁকে 𝓰মারধরও করেন বলে অভিযোগ। শেষমেশ স্থানীয় থানার পুলিশ খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় এবং অভিযুক্তকে সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। গোটা ঘটনা ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে আলিপুরদুয়ারের লোহার পুল এলাকায়।
এই ঘটনা ব্যতিক্রমী ও উদ্ভট হওয়ার কারণেই যে এই শোরগো🐭ল পড়েছে, তা কিন্তু নয়। জানা গিয়েছে, যে যুবককে মহিলাদের অন্তর্বাস চুরি করার অভিযোগে পাকড়াও করে গাছে বেঁধে ঠ্যাঙানি দেওয়া হয়েছে, তিনি নাকি একজন প্রাথমিক শিক্ষক! এই তথ্য সামনে আসায় আরও হতবাক হয়ে গিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে বꦫিস্ময় প্রকাশ করেছেন আলিপুরদুয়ার পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দিবাকর পালও। তিনি এই ঘটনার সঠিক তদন্তের দাবি করেছেন। এবং তদন্তে যা উঠে আসবে সেই মোতাবেক যাতে পুলিশের তরফে পদক্ষেপ করা হয়, তার উপর জোর দিয়েছেন। কিন্তু, প্রশ্ন হল - একজন শিক্ষক যদি মহিলাদের ব্যবহার করা অন্তর্বাস সত্যিই চুরি করে নিয়ে যান, তাহলে তাঁ🌱কে কী শাস্তি দেওয়া যেতে পারে? নাকি তাঁর মানসিক চিকিৎসা করানোটা আগে দরকার? স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশই এই প্রশ্ন তুলছেন।
অন্যদিকে, পু🍨লিশ সূত্রে শেষ পাওয়া খবর অনুসারে - অভিযুক্ত ওই প্রাথমিক শিক্ষককে স্থানীয় থানা আটক করলেও তাঁর বিরুদ্ধ🤡ে কোনও লিখিত অভিযোগ তখনও পর্যন্ত অন্তত দায়ের করা হয়নি। তবুও পুলিশ গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বলে জানা গিয়েছে।