♕ পর্যটনে বাংলা অনেক এগিয়ে রয়েছে। নানা উন্নয়ন হয়েছে এখানে। এবার পর্যটনের আরও বিকাশ ঘটাতে বাংলাকেই বেছে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে একটু অন্যভাবে। আর তাই কয়লাখনিকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে চাইছে ইসিএল (ইস্টার্ন কোল ফিল্ড)। সেই কাজ শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই বিষয়টি নিয়ে আগ্রহ দেখিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। আর তারপরই কাজ শুরু করে কয়লা মন্ত্রক। ঝাঁঝরা কোলিয়ারিতে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার কাজ চলছে। কয়লাখনি থেকে কয়লা উত্তোলনের গোটা পদ্ধতি পর্যটকদের সরাসরি দেখানোর কথা ভাবা হয়েছে। তাতে জ্ঞানও বাড়বে। আবার পর্যটকরা আকর্ষিতও হবেন।
﷽গত ৩ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে কয়লা মন্ত্রকের অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক হয় প্রধানমন্ত্রীর। তখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানান, কয়লাখনি ঘিরে পর্যটনের যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত। তারপরই কয়লা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে ইসিএল, বিসিসিএল এবং দেশের সমস্ত কয়লাখনি অঞ্চলে তেমনই নির্দেশ পাঠায় কোল ইন্ডিয়া। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে এই বিষয়ে যাবতীয় প্রস্তাব কয়লা মন্ত্রকে পাঠিয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে। কয়লা মন্ত্রকের অন্যতম উপদেষ্টা বি ভিরা রেড্ডি সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কয়লাখনি পর্যটন নিয়ে সম্ভাবনার কথা বলেছেন। দীর্ঘদিন কয়লা শিল্পে কাজ করার সুবাদে আমার মনে হয়, ভারতে কয়লাখনিকে কেন্দ্র করে পর্যটনের খুব ভাল সম্ভাবনা আছে।’
আরও পড়ুন: তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পদে আসছেন সামিরুল ইসলাম! দলে কি ববির বিকল্প?
ইতিমধ্যেই কোল মাইন ঘিরে পর্যটনের কাজ শুরু হয়েছে। ওখানে পর্যটকরা ইকো পার্কের সুবিধা পাবেন। আবার ভূগর্ভস্থ মডেল মাইন্স দেখতে পারবেন। সারা দেশে এমন ৩২টি কয়লাখনি এলাকায় ইকো পার্কের প্রস্তাব রয়েছে। যা পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই বিষয়ে ইন্ডিয়ান স্কুল অফ মাইনসের উপদেষ্টা বিনয় দয়ালের বক্তব্য,🧜 ‘পশ্চিমবঙ্গ বা ঝাড়খণ্ডে কয়লাখনি পর্যটনের প্রচুর সম্ভাবনা আছে। খোলামুখ খনিতে প্রচুর জল থাকে। সেখানে ওয়াটার পার্ক গড়ে তোলা যায়। পাথর তোলার পরে সেখানে সবুজ গাছ লাগানো গেলে পর্যটকরা আকর্ষিত হবেন। আবার পরিবেশেরও উন্নতি হবে।’
এখন কয়লামন্ত্রকের মূল লক্ষ্য হয়েছে, ‘কয়লাখনি পর্যটন’। আর সেসব করতে এখন জোরকদমে নেমে পড়েছেন অফিসাররা। ইসিএলের ডিরেক্টর (টেকনিক্যাল) নীলাদ্রি রায় জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ঝাঁঝরাতে ইকো পার্কের কাজ শুরু হয়েছে। তিনি বলেন,𓃲 ‘ইসিএলের মধুসূদনপুর, সালানপুর সহ আরও তিন–চারটি খনি এলাকায় পর্যটক টানতে পার্ক আমরা তৈরি করব। আমাদের খোলামুখ খনিতে যেখানে জল রয়েছে সেখানে বোটিং এবং রেস্তোরাঁ রাখা হবে।’ বাংলায় তা করতে গেলে তো রাজ্য সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন। সেটা নিয়ে রাজ্য সরকারের পর্যটন দফতরের সঙ্গে কথা হয়েছে বলেও জানান তিনি। তাঁর কথায়, ‘আমরা রাজ্য সরকারেরও সহযোগিতা চাইছি। তারা ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে।’