পরিস্থিতি স্বাভাবিকের পথে। তবে এখনই মুর্শিদাবাদের ওয়াকফ হিংসা কবলিত এলাকাগুলি থেকে উঠছে না ১৬৩ ধারা। অর্থাৎ, জমায়েতের ওপর এখনও নিষেধাজ্ঞা জারি আছে। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, আপাতত ১৬ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১৬৩ ধারা জারি থাকবে। তবে জঙ্গিপুর পুলিশ জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা ফের চালু করা হয়েছে। অবশ্য সামশেরগঞ্জে এখনও বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। (আরও পড়ুন: লাগাতার ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস𒆙, জারি সতর্কতা, বৈশ🌺াখের শুরুতে কেমন থাকবে আবহাওয়া?)
আরও পড়ুন: সৌরভকে নবান✨্ন অভিযানে আমন্ত্রণ জানꩵাতে গিয়ে থানায় যেতে হল চাকরিহারা শিক্ষকদের
এদিকে ঘরে ফেরার পর ফের নতুন করে সাধারণ মানুষ কোনও হিংসার কবলে না পড়েন, তার জন্যে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আস্থা ফেরাতে শান্তি কমিটি তৈরি করা হয়েছে মুর্শিদাবাদের গ্রামে গ্রামে। পথসভা করে শান্তির বার্তা দিচ্ছে সেই সব কমিটি। এদিকে ধুলিয়ানের রতনপুর গ্রামে তো বাসিন্দারাই বাঁশের ব্যারিকেড তৈরি করেছেন কোনও ধরনের হামলা রুখতে। (আরও পড়ুন: ভারতের বিরু꧑দ্ধে 'প্রতিশোধ' নিতে গিয়ে নিজেদের পায়ে কুড়ুল মারল বাংলাদেশ?)
আরও পড়ুন: ছত্তিশগড়ে খতম ২ ‘দামী’ মাওবাদী, ঝাড়খণ্ডে ধ্বংস ১১ বাঙ꧒্কার, ৭টি IED
উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় বিক্ষোভের জেরে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল ১১ এপ্রিল থেকে। এই হিংসার জেরে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন কিশোর আছে। সে গত ১১ এপ্রিল গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। এদিকে ১২ এপ্রিল সামশেরগঞ্জে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ স্থানীয়দের। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দেহ উদ্ধার করতে গেলে তাদের বাধা দেওয়া হয়। এলাকায় এখন বিএসএফ টহল দিচ্ছে। জানা গিয়েছে, সামশেরগঞ্জের রানিপুরের জাফরাবাদে ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযোগ, বাবা ও ছেলেকে প্রথমে পেটানো হয়েছে, তারপর ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। এরপর জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বাড়ি ও টোটো। অভিযোগ, পুলিশকে বারবার ফোন করা হলেও পুলিশ আসেনি। (আরও পড়ুন: ওয়াকফ হিংসার জেরে ঘরছাড়াদের অধিকꦿাংশ এখনও মালদা-ঝাড়খণ্ডে, কেমন আছে মুর্শিদাবাদ?)
এদিকে ১২ এপ্রিল ধুলিয়ান পুরসভাতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এদিকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভাঙচুর চালানো হয় এবং পরে সেখানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ধুলিয়ানে একটি শপিংমলে লুটপাট চালানো হয়। এদিকে ফারাক্কার বিধায়ক মনিরুল ইসলামের দাদা আলির বাড়িতেও ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকী বিধায়ককেও হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। হেনস্থা করা হয় বিধায়ককে। জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুরের অফিসেও হামলা চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। এদিকে মুর্শিদাবাদে হিংসার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত শতাধিক ব্যক্ত🌄িকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের পাশাপাশি এলাকায় টহল দিচ্ছে বিএসএফ।