বৃহস্পতিবার সকাল সকাল মৃত্যু হল রেখা সাউয়ের শিশুসন্তানের। জানা গিয়েছে, সকাল ৯টা নাগাদ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের মাতৃমা বিভাগে ভর্তি থাকা শিশুটি মারা যায়। স্যালাইনকাণ্ডে অসুস্থ প্রসূতি রেখা এখন সেই হাসপাতালেই ভর্তি আছেন। এর আগে স্যালাইনকাণ্ডে মেদিনীপুর মেডিক্যালেই মৃত্যু হয়েছিল মামনি রুইদাস নামের এক প্রসূতির। অসুস্থ আরও তিন প্রসূতিকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। (আরও পড়ুন: 💯সাংবিধানিক সংস্কারে বাংলাদেশের নাম বদলের সুপারিশ, কী হতে পারে নয়া নাম?)
আরও পড়ুন: 𝕴মন্দিরে ছোট্ট ছেলের সামনে বাবা অমিত শাহের 'বকুনি' শুনলেন জয়! ভাইরাল ভিডিয়ো
রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ৮ জানুয়ারি জন্ম নেওয়ার পর থেকেই রেখার শিশুসন্তানকে রাখা হয়েছিল ভেন্টিলেশনে। জন্মের পরে নিজেদের সন্তানের মুখও দেখতে পাননি বাবা সন্তোষ সাউ এবং মা রেখা। ঠাকুমা পুষ্পা সাউ জানান, তিনি একবার দেখেছিলেন শিশুটিকে। এখন সেই শিশুর মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হবে বলে জানা গিয়েছে। তারপরে শিশুর দেহ বাড়িতে নিয়ে যেতে দেওয়া হবে। (আরও পড়ুন: 🌳আগে মিলেছিল ৪.৫ কোটি, ৬০০০ কোটি টাকার সেই জালিয়াতি মামলায় এবার বেহালা-হাওড়ায় ED)
আরও পড়ুন: ♛নির্বাচন ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তনের সুপারিশ, 'আমেরিকা' হতে চাইছে বাংলাদেশ?
উল্লেখ্য, সম্প্রতি মেদিনীপুর মেডিক্যালে পাঁচ প্রসূতি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। গত ৮ জানুয়ারি মা হয়েছিলেন রেখা সাউ, মামনি রুইদাস, মাম্পি, মিনারা ও নাসরিনরা। তারপরে তাঁদের প্রস্রাব বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। অভিযোগ, প্রসূতিদের ‘রিঙ্গার্স ল্যাকটেট’ স্যালাইন এবং ‘অক্সিটোসিন’ নামে এক ধরনের ওষুধ দেওয়ার জেরে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। এই আবহে মৃত্যু গয় মামনির। পরে মাম্পি, মিনারা এবং নাসরিনকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ থেকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। (আরও পড়ুন: ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚপ্রস্তাব পেশ তো হল, এবার কি? বাংলাদেশ সংস্কারে কত সময় লাগবে ইউনুসের?)
✨এদিকে সাম্প্রতিক রিপোর্টে দাবি করা হয়, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতির মৃত্যুর পরও একাধিক হাসপাতালে নিষিদ্ধ সংস্থার স্যালাইন ব্যবহারের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাস্যুটিক্যাল নামে ওই সংস্থার স্যালাইন ব্যবহার করে নভেম্বর মাসে কর্নাটকে কয়েকজন প্রসূতির মৃত্যু হয়েছিল। এর পর ওই সংস্থার কারখানা পরিদর্শন করেন রাজ্যের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। এর পর ওই সংস্থার ১৪টি পণ্য তৈরিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে তারা। সঙ্গে রাজ্যের হাসপাতালগুলি যাতে ওই সংস্থাকে কোনও পণ্যের বরাত দিতে না পারে সেজন্য সরকারি পোর্টালে পণ্যগুলিকে কালো তালিকাভুক্ত হয়েছিল। জানা গিয়েছে, এই পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাস্যুটিক্যালের ওষুধ বা স্যালাইন তৈরির গুণগত মান বজায় রাখার প্রক্রিয়ায় বিস্তর ত্রুটি পাওয়া গিয়েছিল কর্ণাটকের কাণ্ডের পরই। এই আবহে পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাস্যুটিক্যালের সব কর্মকাণ্ডের বন্ধ রাখার জন্যে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের কাছে সুপারিশ করে কর্ণাটক।