🐠চাকরিহারা শিক্ষকদের উপর ‘লাথি ও পুলিশের লাঠি’। এবার প্রতিবাদে নামলেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা। তাঁরা এদিন কালো ব্যাজ পরে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন। তাঁদের দাবি, একে তো চাকরি গিয়েছে শিক্ষকদের। তার উপর তাঁরা যখন প্রতিবাদ জানাতে গিয়েছিলেন তখন তাঁদের উপর লাঠিপেটা করল পুলিশ। তাঁদের লাথি মারল পুলিশ। এনিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, অধ্যাপিকারা।
♛তাঁদের দাবি , সরকারি ব্যবস্থায় এই ধরনের ভয়াবহ দুর্নীতি হলে তার ফলাফল গোটা সমাজের উপর পড়ছে। বহু পরিবার সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থার দিকে চলে যাচ্ছে বহু পরিবার। তারপরেও ঘুম ভাঙছে না সরকারের।
এদিকে এসএসসি🌟 ভবনের সামনে দলে দলে চাকরিহারারা অবস্থান বিক্ষোভে বসেন। একেবারে দিশেহারা অবস্থা। কয়েকজন শিক্ষিকা বাচ্চা নিয়ে চলে এসেছেন আন্দোলনস্থলে। বিভিন্ন দূরের জেলা থেকে তাঁরা এসেছেন কলকাতায়। রাস্তায় বসে আছেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। কথা ছিল তাঁরা ক্লাসে যাবেন। কিন্তু চাকরি হারিয়ে তাঁদের বসতে হয়েছে রাস্তায়।
এদিকে শুক্রবারই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুꦐর সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে চাকরিহারা শিক্ষকদের। অবস্থানস্থল থেকে কয়েকজন প্রতিনিধি যাবেন শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে। কিন্তু সেখানে কি কোনও সমাধানসূত্র মিলবে?
💫এই প্রশ্নটাই কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে। সেই সঙ্গেই বেতন পাওয়া নিয়েও চরম অনিশ্চয়তা। অনেকে আশা করছেন হয়তো বেতন মিলে যাবে। আবার অনেকের মতে, যদি বেতন দিয়ে দেয় তাহলে তা কি আদালত অবমাননার মধ্য়ে পড়ে যাবে?
🔯নানা প্রশ্ন উঠছে। তবে এসবের মধ্য়ে এক শিক্ষিকা মোক্ষম প্রশ্ন তুলে দিলেন। তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেন, আমাদের স্কুলে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমাদের রাস্তায় বসে থাকতে হচ্ছে। এটা হতে পারে না। চরম অনিশ্চয়তা। কিন্তু আমাদের একটাই কথা পাপ করলে তুমি আর সাজা পেলাম আমি। এটা কীভাবে হতে পারে।
কার্যত রাজ্যসরকার, শিক্ষা দফতর, স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন চাকরিহারা ꧂শিক্ষকদের একাংশ। তাঁদের দাবি, আমরা তো পরীক্ষা দিয়ে যোগ্যতা থাকার জন্যই চাকরি পেয়েছি। আমাদের কেন চাকরি যাবে? ওএমআর শিটের মিরর ইমেজ প্রকাশের দাবি তুলেছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, শিক্ষাদফতর ওএমআর শিটের মিরর ইমেজ প্রকাশ করুক। তাহলেই সব সমস্যা মিটে যাবে। কিন্তু সেটা কেন প্রকাশ করছে না?