নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ইমাম এবং মৌলানাদের নিয়ে বৈঠকে ওয়াকফ ইস্যুতে আক্রমণাত্মক শোনাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মুর্শিদাবাদে হিংসা নিয়ে নাকি বিজেপি ভুয়ো ভিডিয়ো ছড়িয়েছে ৮টা। আজ এমন🅰ই অভিযোগ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরই সঙ্গে সংবাদমাধ্যমের একাংশকে 'গোদি মিডিয়া' আখ্যা দিয়ে আজ পালটা তোপ দাগেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরই সঙ্গে তিনি বিজেপির কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে প্রশ্ন করেন, 'দেশে কতজন চাকরি পেয়েছেন, তার জাব দিক সরকার।' এদিকে আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'জনকল্যাণের স্বার্থে অনেক হিন্দুও ওয়াকফে সম্পত্তি দান করেন। অনেক হিন্দু ওয়াকফ সম্পত্তিতেও থাকেন।'
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, 'তাꦫদের (কেন্দ্রের) উত্তর দেওয়া উচিত... কতজন যুবক চাকরি পেয়েছে? দেশে ওষুধ, পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম বাড়া﷽নো হয়েছে... কিন্তু কিছু 'গোদি মিডিয়া' কেবল বাংলার বিরুদ্ধে কথা বলছে। যদি কিছু বলতেই হয়, তাহলে আমার সামনে এসে বলো, আমার পিছনে নয়... বিজেপির অর্থায়নে পরিচালিত কিছু মিডিয়া চ্যানেল বাংলার ভুয়ো ভিডিয়ো দেখায়। আমরা তাদের ধরেছি। তারা কর্ণাটক, উত্তরপ্রদেশ, বিহার এবং রাজস্থানের ৮টি ভিডিয়ো দেখিয়ে বাংলার মানহানি করার চেষ্টা করেছে। তাদের লজ্জা বোধ করা উচিত।'
এর আগেও মমতা বলেছিলেন - 'ওই আইন কার্যকর হবে না বাংলায়'। যার জবাবে বিজেপি পালটা তোপ দেগেছিল ওয়াকফ নিয়ে। এর আগে 🌃সিএএ বা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বাংলায় কার্যকর তে দেবেন না বলে দাবি করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে সারা দেশের মতো পশ্চিমবঙ্গেও কার্যকর হয় সিএএ। বহু মানুষ সিএএ-র মাধ্যমে নাগরিকত্ব পেয়েছেন ইতিমধ্যেই। সেবারও মুর্শিদাবাদ এবং মালদায় হিংসা ছড়াতে দেখা গিয়েছিল। পরে মমতা নিজে রাস্তায় নেমে সিএএ বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সঙ্গে হিংসা থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানিয়েছিলেন সিএএ-বিরোধীদের। এবারও ওয়াকফের বিরোধিতায় সরব মমতা। দাবি করেছেন, বাংলায় এই আইন কোনও ভাবে কর্যকর হতে দেবেন না।
এর আগে𒁃 পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর হয়ে পড়েছিল যে মুর্শিদাবাদে রাজ্য প্রশাসন বিএসএফের কাছে সাহায্যের আবেদন করে। এর আগে বারংবার দেখা গিয়েছে, রাজ্যে রামনবমী বা অন্য কোনও হিংসার ঘটনা ঘটলে বিরোধী দল বিজেপি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি তুলত। কিন্তু তার বিরোধিতা করে আসত তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু এবারে জেলা প্রশাসন নিজে থেকেই বিএসএফের দ্বারস্থ হয়েছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দিতে। এদিকে সাম্প্রতিক ঘটনাবলিতে পুলিশের ভাবমূর্তি খুণ্ণ হয়েছে সাধারণ মানুষের কাছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই 'ট্রোল' করছে পুলিশকে। বিজেপি নেতারা বলছেন, কসবায় শিক্ষকদের পুলিশ লাথি মারে, কিন্তু ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদের মিছিল হিংসাত্মক আকার নিলে পুলিশ ভয়ে নিজের প্রাণ বাঁচাতে পালাচ্ছে।
এই সবের মাঝেই গত ১০ এপ্রিল মধ্যমগ্রামে ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে পথ অবরোধ করেছিলেন সংখ্যালঘুরা। সেই সময় স্থানীয় কা🐭উন্সিলরকে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলেন মন্ত্রী রথীন ঘোষ। সেখানে রথীনকে ঘিরেই বিক্ষোভ শুরু করে প্রতিবাদীরা। পরে অবশ্য পুলিশ বুঝিয়ে প্রতিবাদীদের ওঠায়। এদিকে 'অপ্রস্তুত' রথীন দাবি করেন, তরুণ বয়সের প্রতিবাদী, তাই ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এদিকে বীরভূমের মুরারইয়ে ওয়াকফ (সংশোধিত) আইনের বিরোধিতার মিছিলে গতকাল দেখা যায়, শতাব্দীর ছবিতে কালি লেপে কাটাকুটি করেছে প্রতিবাদীরা। যদিও মুখ রক্ষা করতে তৃণমূল দাবি করছে, এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। তবে এরই মাঝে জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমানের অফিসে হামলা হয় গতকাল। সেখানে খলিলুরকে ঘিরে ধরে ওয়াকফ প্রতিবাদীরা। পরে পুলিশ তাঁকে রক্ষা করে। এদিকে রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী আবার ওয়াকফ প্রতিবাদে সামিল হয়ে বক্তব্য রাখছেন, সেটাকে 'উস্কানিমূলক' আখ্যা দিচ্ছে বিজেপি। এই আবহে সিদ্দিকুল্লাও তৃণমূলের জন্যে অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠতে পারেন। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী নিজে দাবি করেছেন, রাজ্যে নাকি তাঁর সরকার সংশোধিত ওয়াকফ আই﷽ন কার্যকর করতে দেবেন না। এই আবহে আজকের অনুষ্ঠানে ফের একবার ওয়াকফ নিয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করছেন মমতা।