শ্রীলঙ্কাকে পশ্চিমবঙ্গের পড়শি দেশ বানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তা নিয়েই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না তৃণমূল সুপ্রিমোকে। আজ নেতাজি ইন্ডোরে বক্তৃতা দেওয়ার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে বসেন, 'পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান এবং শ্রীলঙ্কার সীমান্ত আছে।' এই ইস্যুতে সুকান্ত মজুমদার পরে কটাক্ষ করে বলেন, 'দক্ষিণ এশিয়ার মানচিত্র নতুন করে আঁকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।' এরই সঙ্গে সুকান্ত বলেন, 'মমতার বাংলায় তথ্য ঐচ্ছিক, যুক্তি অনুপস্থিত, এবং অক্ষমতাই একমাত্র যোগ্যতা।' (আরও পড়ুন: 𒅌ওয়াকফ হিংসার জেরে ঘরছাড়াদের অধিকাংশ এখনও মালদা-ঝাড়খণ্ডে, কেমন আছে মুর্শিদাবাদ?)
আরও পড়ুন: 𒁏'গোদি মিডিয়ার' ঘাড়ে বন্দুক রেখে ওয়াকফ হিংসা নিয়ে 'খেলা ঘোরাতে' চাইলেন মমতা?
এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ মুর্শিদাবাদের হিংসার জন্যে কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিএসএফকেই দায়ী করেন। এরই সঙ্গে নিজের দলের ওপর থেকে হিংসার দায় ঝেড়ে ফেলতে কংগ্রেসকে টানলেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে। যেখানে গণ্ডগোল হয়েছে, সেটা মুর্শিদাবাদ আসন নয়, মালদহের আসন। কংগ্রেসের জেতা আসন। জেতার সময় জিতবে। দাঙ্গা হলে রাস্তায় বেরবে না। তৃণমূল কংগ্রেস যদি অশান্তি করত, তাহলে তৃণমূলের তিন বিধায়কের বাড়ি আক্রান্ত হত না। পার্টি অফিসও ভাঙা হত না।' (আরও পড়ুন:𒈔 ফের হিংসার অভিযোগ ধুলিয়ানে, পুড়ল তৃণমূল নেতার দাদার দোকান)
🙈মমতা আজ বলেন, 'বাংলাদেশের ইউনুসের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর গোপন বৈঠক করতেই পারেন। দেশের ভালো হলে ভালো। কিন্তু আপনাদের উদ্দেশ্যটা কী? অন্যদেশ থেকে লোক নিয়ে এসে দাঙ্গা করা? আপনি বাংলাদেশের পরিস্থিতি জানেন না?' এরপরই তিনি বলেন বাংলার প্রতিবেশী দেশ হল বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান এবং শ্রীলঙ্কা। এরপর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'গতকাল আমি এএনআই-এর একটি টুইট দেখেছি যেখানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছে যে বাংলাদেশের সাথে জড়িত। যদি এটি সত্যি হয়, তাহলে এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকার দায়ী। সীমান্তের দেখাশোনা করে বিএসএফ, রাজ্য সরকার নয়। কেন বিজেপির লোকদের বাইরে থেকে এসে গোলমাল করতে এবং পালিয়ে যেতে দেওয়া হল?'
ꦰএদিকে ইমাম থেকে শুরু করে মোয়াজ্জেম এবং হিন্দুদের একসঙ্গে থাকতে বলেন মমতা। তিনি বলেন, 'হিন্দু–মুসলমান ভাগ করবেন না। এতে দেশের ভাগ হয়ে যাবে। আমি যতদিন থাকব হিন্দু মুসলমানদের মধ্যে ভাগাভাগি করতে দেব না। মসজিদ থেকে ইমাম সাহেবরা বলুন একসঙ্গে থাকার কথা। দিল্লিতে বাঙালি এলাকায় মাছ মাংস বন্ধ। এখানে এসব করে আমাদের সরকার ফেলতে চাইছে। আপনাদের খাবার বন্ধ করে দেবে। যদি আমার উপর বিশ্বাস করেন, তাহলে আপনারা শান্ত থাকুন। বিজেপির প্ররোচনায় পা দেবেন না।'