আরজি কর আন্দোলনের অন্যতম 'মুখ' হয়ে উঠেছিলেন তিনি। সেই আসফাকুল্লা নাইয়ার বিরুদ্ধে এবার উঠল গুরুতর অভিযোগ। এই আবহে তাঁকে শোকজের নোটিশ ধরাল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। আসফাকুল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ, আসফাকুল্লা নাইয়া পিজিটি হয়েও ইএনটি-র সার্জেন পরিচয় দিয়ে চেম্বার করছেন। এই আবহে সাতদিনের মধ্যে চিকিৎসকের কাছ থেকে জবাব তলব করা হয়েছে। (আরও পড়ুন: স্যালাইনকাণ্🍷ডে এবার মৃত্যু শিশুর, সন্তানের মুখটাও দেখতে পেলেন না অসুস্থ মা)
আরও পড়ুন: আগে ম💃িলেছিল ৪.৫ কোটি, ৬০০০ কꩲোটি টাকার সেই জালিয়াতি মামলায় এবার বেহালা-হাওড়ায় ED
উল্লেখ্য, আরজি করে তরুণী চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ সামনে আসতেই প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে উঠেছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকদের একটা বড় অংশ। এই আবহে দীর্ঘদিন সরকারি হাসপাতালে কর্মবিরতি চলে জুনিয়র চিকিৎসকদের। তবে উলটো দিকে অভিযোগ উঠেছিল, কর্মবিরতিতে থাকা বহু চিকিৎসক সেই সময় চুটিয়ে নিজেদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস করে গিয়েছেন। এই সবের মাঝে আবার অন্য বিতর্কে জড়ান আসফাকুল্লা। প্রথম বর্ষের ট্রেনি হয়েও 'বিশেষজ্ঞ' ডাক্তার লিখে বেসরকারি জায়গায় তিনি চিকিৎসা করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। যদিও আসফাকুল্লা দাবি করেন, তিনি বিনামূল্যেই বেসরকারি জায়গায় চিকিৎসা করতেন। এমনকী তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন, কেউ যদি প্রমাণ করতে পারেন যে তিনি একটাও টাকা নিতেন, তাহলে ডাক্তারি ছেড়ে দেবেন। (আরও পড়ুন: ইলন মাস্কের SpaceX-এর রকেটে চেপে মহাকাশে ৩ ভারতীয় স্ট🦩ার্টআপের স্যাটেলাইট)
আরও পড়ুন: ১৫ মাসে মৃত্যু পꩲ্রায় ৫০ হাজারের, গাজায় কোন পথে কার্যকর হবে যুদ্ধবিরতি?
এর আগে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের 'বিরোধী' সংগঠন জুনিয়র ডক্টর অ্যাসোসিয়েশনের শ্রীশ চক্রবর্তী অভিযোগ করেছিলেন, হুগলির সিঙ্গুরেরꦡ একটি বেসরকারি স্বাস্থ্যকেඣন্দ্রে প্র্যাকটিস করতেন আসফাকুল্লা। চিকিৎসকদের যে তালিকা ছিল, তাতে তাঁর নামের পাশে 'নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞ' লেখা ছিল। অথচ ২০২২ সালেই আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে স্নাতকোত্তরের প্রথম বর্ষের ট্রেনি হিসেবে আসফাকুল্লা যোগ দিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন শ্রীশ। এই আবহে প্রশ্ন ওঠে, প্রথম বর্ষের ট্রেনি হয়ে কীভাবে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার হিসেবে চিকিৎসা করতে পারেন আসফাকুল্লা? পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মে সেটা মোটেও করা যায় না। কিন্তু সেটাই করেছেন আসফাকুল্লা। যা ডিগ্রি জালিয়াতির সামিল। এদিকে নিয়ম অনুসারে, পিজিটি থাকাকালীন কোনও চিকিৎসকই অন্য কোনও বেসরকারি জায়গায় প্র্যাকটিস করতে পারেন না। যদি কেউ তেমনটা করেন, তাহলে তা বেআইনি বলে গণ্য করা হবে। এই আবহে আসফাকুল্লা নাইয়ার বিরুদ্ধে ন্যাশনাল মেডিক্য়াল কমিশনকে অভিযোগ জানিয়ে চিঠি পাঠায় 'বিরোধী' অ্য়াসোসিয়েশন। এহেন পরিস্থিতিতে এবার সেই জুনিয়র চিকিৎসক আসফাকুল্লা নাইয়াকে শোকজ করল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল।