ক্যাম্পাসিংয়ের মাধ্যমে এই বছর আরও বেশি সংখ্যক কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা করেছে টাটা কনসাল্টেন্সি সার্ভিস। এমনটাই জানালেন সংস্থার মুখ্য মানবসম্পদ আধিকারিক মিলিন্দ লক্কড়। সম্প্রতি টাটা কনসাল্টেন্সি সার্ভিসের ত্রৈমাসিক ফলাফল প্রকাশিত হয়েছিল। এরই সঙ্গে ডিভিডেন্ডের ঘোষণা করা হয়েছিল শেয়ার হোল্ডারদের জন্যে। এরই সঙ্গে এবার টিসিএস জানিয়ে দিয়েছে, গত ত্রৈমাসিকে ২৫ হাজার অ্যাসোসিয়েটের পদোন্নতি করেছে সংস্থা। সব মিলিয়ে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে টিসিএসে ১ লাখ ১০ হাজার প্রোমোশন হয়েছে বলে জানিয়েছেন মিলিন্ড লক্কড়। (আরও পড়ুন: 🐽সংসদে মহিলাদের ৩৩% সংরক্ষণের আইনকে চ্যালেঞ্জ, মামলার আবেদন নিয়ে কী বলল SC?)
আরও পড়ুন: ไলুকিয়ে আছে কয়েকশো কোটি টাকার সোনা, সিন্ধু নদে 'গুপ্তধন' খুঁজে পেল পাকিস্তান!
এই নিয়ে টিসিএসের চিফ এইচআর অফিসার মিলিন্দ লক্কড় বলেন, 'এই ত্রৈমাসিকেই আমরা ২৫ হাজার অ্যাসোসিয়েটকে প্রোমোশন দিয়েছি। এর ফলে এই বছরে মোট ১ লাখ ১০ হাজার প্রোমোশন দিয়েছে কোম্পানি। আমরা আমাদের কর্মীদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি এবং সার্বিক উন্নয়নের দিকে নজর দিয়ে চলেছি। আমাদের এই বছরের ক্যাম্পাসিং পরিকল্পনামাফিক চলছে। আগামী বছরে এর থেকেও বেশি সংখ্যক কর্মী নিয়োগ করা হবে ক্যাম্পাসিংয়ে। এর জন্যে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।' (আরও পড়ুন: ꦑবঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে এক ঘূর্ণাবর্ত, বদলে যাবে বাংলার আবহাওয়া?)
আরও পড়ুন: ✅সাজায় 'নিঃশর্ত অব্যাহতি' পেয়েও খুশি নন, রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন জানাতে চান ট্রাম্প
এদিকে টিসিএসের ত্রৈমাসিক ফলাফল থেকে জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মাঝে সংস্থার মোট কর্মী সংখ্যা কমেছে ৫৩৭০। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে দাঁড়িয়ে টাটা কনসাল্টেন্সি সার্ভিসের মোট কর্মী সংখ্যা ছিল ৬ লাখ ১২ হজার ৭২৪। ডিসেম্বরের শেষে তা কমে হয়েছে ৬ লাখ ৭ হাজার ৩৫৪। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে অক্টোবর-ডিসেম্বর কোয়ার্টারই প্রথম এমন ত্রৈমাসিক ছিল, যেখানে টিসিএসের মোট কর্মী সংখ্যা কমেছে। এর আগে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের প্রথম দুই ত্রৈমাসিক মিলিয়ে টিসিএসের মোট কর্মী সংখ্যা বেড়েছিল ১১ হাজার ১৭৮। (আরও পড়ুন: ♒গভীর রাতে শাসকদলের বিধায়কের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার, রহস্যজনক মৃত্যুর তদন্তে পুলিশ)
আরও পড়ুন: 𝔍লিভইন পার্টনারকে খুন, ১০ মাস দেহ ফ্রিজে রেখে দিলেন প্রেমিক!
ꦍ এদিকে মিলিন্দ লক্কড় জানান, ২০২৪ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর কোয়ার্টারে টিসিএসে 'অ্যাট্রিশন রেট' (কর্মীদের স্বেচ্ছায় সংস্থা ছাড়ার হার) ছিল ১২.৩ শতাংশ। এবং ডিসেম্বরে শেষ হওয়া ত্রৈমাসিকে তা সামান্য বেড়ে ১৩ শতাংশ হয়েছে। যদিও এই নিয়ে খুব একটা বেশি উদ্বেগের কারণ নেই বলেই দাবি করেন মিলিন্দ। তাঁর কথায়, 'এই পরিবর্তন অতি সামান্য। আমাদের অস্বস্তির কারণ হবে না এটা। সার্বিক ভাবে দেখতে গেলে আমি আশা করছি আগামী ত্রৈমাসিকগুলিতে আমাদের অ্যাট্রিশন রেট কমবে। এখন আগের বছরের তুলনায় যদি তথ্য পরিবেশন করা হয়, তাহলে হয়ত তার প্রতিফলন অন্য রকমের হতে পারে। সেটা অ্যাট্রিশন রেট কেমন ভাবে গণনা করা হয়, তার ওপর নির্ভর করে।'