ไ বৃহস্পতিবার ভোররাতে আচমকাই সইফ আলি খান এবং করিনা কাপুর খানের বাড়িতে এক আততায়ী ঢুকে পড়ে। জানা গিয়েছে, অভিনেতার সঙ্গে হাতাহাতি হওয়ার সময় ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেছে সেই ব্যক্তি। এবার প্রকাশ্যে এল আরও এক চমকপ্রদ তথ্য। জানা গিয়েছে জেহকে নাকি বন্দি বানাতে চেয়েছিল সেই ব্যক্তি।
আরও পড়ুন: 🅘‘আমাদের নিরাপত্তার স্বার্থে অকারণ জল্পনা বন্ধ করুন’, সইফের হামলা নিয়ে মুখ খুললেন করিনা
আরও পড়ুন: ﷺসইফের বাড়ি না জেনেই সেখানে ঢুকে পড়েন আততায়ী! কোথা দিয়ে প্রবেশ করে, কী কী জানা গেল তদন্তে?
কী জানা গিয়েছে?
𝐆পুলিশের তরফে এদিন এনডিটিভিকে জানানো হয়েছে সইফ আলি খানের বাড়ির এক পরিচারিকা যিনি জেহের দেখভাল করেন, তিনি জানিয়েছেন হাতে ধারাল অস্ত্র নিয়েই সেই আততায়ী প্রথমে সইফের চার বছর বয়সী ছোট ছেলের ঘরে ঢুকেছিল।
♔সেই ব্যক্তির সঙ্গে হাতাহাতিতে ওই নার্স, সইফ আলি খান নিজে এবং তাঁর বাড়ির আরেক স্টাফ আহত হন। সইফ আলি খানকে ছুরি দিয়ে ৬ বার আঘাত করেন সেই ব্যক্তি। তাতেই তাঁর শিরদাঁড়ার কাছে আঘাত লাগে। এবং তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বাধ্য হয়। জানা গিয়েছে সেই ব্যক্তি নাকি জেহকে আটক করে ১ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিলেন।
কীভাবে সেই ব্যক্তি সইফ আলি খানের বাড়িতে ঢোকেন?
🎐পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে এই ব্যক্তি সইফ আলি খান বান্দ্রার যে বাড়িতে থাকেন সেই বাড়ির যে ইমারজেন্সি ফায়ার এক্সিট আছে সেখান দিয়ে প্রবেশ করেছে। সেই দরজা নাকি খোলা ছিল এদিন। এই বিল্ডিংয়ের পিছনে থাকা সিঁড়ি দিয়েই নাকি তিন সেই ফায়ার এক্সিটে পৌঁছেছিলেন। তবে এদিন এও জানা গিয়েছে যে বাড়ির নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বাড়ির পিছনের দিকে অনেক খামতি আছে। তবুও সিসিটিভি ফুটেজ থেকে সেই ব্যক্তির ছবি পেয়েছে পুলিশ। সেই ব্যক্তি যখন পালাচ্ছিল এই কাণ্ড ঘটিয়ে তখনই তাকে সিসিটিভিতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: 🐼'এটা নাচ নাকি মর্নিং এক্সারসাইজ?' ড্রামসের তালে উত্তাল নাচ রূপমের! হেড ব্যাং-স্টেপ দেখে হেসে কুটোপুটি নেটপাড়া
কী জানিয়েছেন করিনা?
ℱকরিনা এদিন তাঁর পোস্টে লেখেন, 'আজকের দিনটা আমাদের পরিবারের জন্য ভীষণ কঠিন, চ্যালেঞ্জিং একটা দিন ছিল। আমরা এখনও গোটা বিষয়টায় ধাতস্থ হয়ে উঠতে পারিনি। যেহেতু আমরা এখন একটা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি তাই আমি সম্মানের সঙ্গে, বিনম্রতার সঙ্গে মিডিয়া এবং পাপারাৎজিদের কাছে অনুরোধ করছি তাঁরা যেন অকারণ জল্পনা এবং কভারেজ না করেন। আমাদের জন্য এই চিন্তা, এই সমর্থনকে আমি বাহবা জানাচ্ছি, ধন্য এটার জন্য। কিন্তু এই লাগাতার নজরদারি চালানো, অ্যাটেনশন দেওয়া কিন্তু আমাদের নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করছে। আমি তাই অনুরোধ করছি যাতে আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে বেশি না ঢোকেন, এই জায়গাটা দেন এবং পরিবারের হিসেবে এই কঠিন সময়টা আমাদের কাটিয়ে উঠতে একটু সময় দিন। আশা করব এই সংবেদনশীল সময়ে আপনারা বুঝবেন, পাশে থেকে সাহায্য করবেন।'