🦩 এবার কম দামে ইলিশ বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি)। এই সংস্থাটি জানিয়েছে, ৪৫০ গ্রাম থেকে ৮৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি করবে কেজি প্রতি ৬০০ টাকায়। তাতে মানুষজন কম দামে রূপোলি ফসল বেশি চেখে দেখতে পারবেন। বদলের বাংলাদেশে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে ইলিশ মাছ। সেখানে এমন অবস্থায় তাদের জন্য সুখবর দিয়েছে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন। যদিও সেখানে হিন্দুদের উপর আক্রমণ–হামলা লেগেই রয়েছে।
ꦗএদিকে আজ, রবিবার দুপুরে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর এই ইলিশ মাছ কারওয়ান বাজারের বিএফডিসি ভবনের মৎস্য বিতানে বিক্রি করা শুরু হয়েছে বলে খবর। এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। এই বিষয়ে বিএফডিসির চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) সুরাইয়া আখতার জাহান সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘ইলিশ মাছের জোগান না থাকায় বাড়ছে দাম। এই কারণে বিএফডিসি ভর্তুকি মূল্যে ইলিশ মাছ বিক্রির দায়িত্ব হাতে নিয়েছে। আমরা প্রায় ১৭শো কেজির দুটি চালান হাতে পেয়েছি।’
আরও পড়ুন: বউবাজারের তলা দিয়ে চাকা গড়াতে চলেছে মেট্রোর, বিপর্যস্ত সুড়ঙ্গে মেরামত সমাপ্ত
অন্যদিকে বিক্রয়যোগ্য ইলিশ মাছের পরিমাণ ৮৫০ কেজি। ক্রেতারা আগে এলে আগে পাবেন ভিত্তিতে ইলিশ মাছ বিক্রি করা হবে। এই বিষয়ে সুরাইয়া আখতার জাহানের বক্তব্য,🐬 ‘ক্রেতাদের কথা মাথা রেখে টিসিবির মতো রেশনিং করে বিক্রি করা হবে। একেকজন গড়ে বিএফডসির নিজস্ব প্যাকেটজাত এক প্যাকেটে এক থেকে দেড় কেজি মাছ কিনতে পারবেন।’ এই ইলিশ মাছ ফিশিং জাহাজের মাধ্যমে বঙ্গোপসাগর থেকে ধরা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এই কাজের ফলে একদিকে দাম কমল অপরদিকে সহজে মিলতে চলেছে ইলিশ মাছ। যা মিলছিল না।
এছাড়া ইলিশ মাছ বিপণন কর্মসূচি বাস্তবায়িত করতে যৌথভাবে কাজ করছে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন এবং বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশন। এই কাজের ক্ষেত্রে স্লোগান তৈরি করা হয়েছে ‘স্বাদে গন্ধে অতুলনীয়–ইলিশ কিনে হোন ধন্য’। বিএফডিসি’র তথ্য অনুযায়ী,ꦺ সাশ্রয়ী মূল্যে সাধারণ জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য ‘ইলিশ মাছের সরবরাহ ও মূল্য শৃঙ্খলে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণের জন্য হ্রাসকৃত মূল্যে ইলিশ মাছ বিক্রয়’ সেবা কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে।