🔜 কথায় বলে, একটা পথ বন্ধ হয়ে গেলে নাকি আরও নতুন নতুন পথ খুলে যায়! নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত বিষয়েও কি তেমনটাই ঘটছে? ইঙ্গিত কিন্তু তেমনই পাওয়া যাচ্ছে।
ꦺটাইমস অফ ইন্ডিয়া-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, সাম্প্রতিক সময়ে 'ইলেক্ট্রোরাল ট্রাস্ট'-এর মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলিকে বিপুল পরিমাণ অর্থ অনুদান হিসাবে সরবরাহ করছে কর্পোরেট সংস্থাগুলি।
𝐆'প্রুডেন্ট ইলেক্ট্রোরাল ট্রাস্ট' নামক সংস্থা এই অনুদান এক পক্ষ থেকে অন্য পক্ষের কাছে পাঠানোর বিষয়ে শীর্ষস্থানে রয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট ইলেক্ট্রোরাল বন্ড-কে অসাংবিধানিক আখ্য়া দিয়ে তা বাতিল করে দেয়।
๊আর তারপর থেকেই রমরমা শুরু হয় ইলেক্ট্রোরাল ট্রাস্ট-এর। শুধুমাত্র ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ থেকে ৩১ মার্চ ২০২৪-এর মধ্যেই রাজনৈতিক দলগুলি ১০৭৫.৭ কোটি অনুদান লাভ করে!
♏গত আর্থিক বছরের নিরিখে প্রুডেন্ট কর্তৃপক্ষ তাদের তরফে পাঠানো অনুদান নিয়ে যে রিপোর্ট পেশ করেছিল, তা এখন নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে রাজনৈতিক দলগুলিকে দেওয়া অনুদানের পরিমাণ ছিল ৩৬৩ কোটি টাকা।
👍শুধুমাত্র ২০২৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩১ মার্চের মধ্য়েই সেই পরিমাণ প্রায় তিনগুণ বেড়ে হয় ১০৭৫.৭ কোটি টাকা। যদিও মাত্রাতিরিক্ত এই বৃদ্ধি অস্বাভাবিক নয় বলেই দাবি করছে সংশ্লিষ্ট মহল। কারণ, যেকোনও নির্বাচনের আগেই রাজনৈতিক দলগুলির হাতে আসা অনুদানের পরিমাণ এক ধাক্কায় বহুগুণ বেড়ে যায়। এটাই অলিখিত প্রথা!
🃏কিন্তু, লক্ষ্যণীয় বিষয় যেটা, তা হল - যে উদ্দেশ্য়ে নির্বাচনী বন্ড বাতিল করা হয়েছিল, তা কি আদৌ পূরণ করা সম্ভব হবে? কারণ, যে মুহূর্তে শীর্ষ আদালত নির্বাচন বন্ড বাতিল বলে রায় ঘোষণা করেছে, সঙ্গে সঙ্গে বিকল্প পথ খুঁজে নিয়েছে ভারতের কর্পোরেট সংস্থা ও রাজনৈতিক দলগুলি। নির্বাচনী বন্ডের বদলে তারা এখন নির্বাচনী ট্রাস্ট ব্যবহার করছে!
⛎তবে, এক্ষেত্রে কিছুটা হলেও স্বচ্ছতা রক্ষার অবকাশ ও বাধ্যবাধকতা রয়েছে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। কারণ, নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অনুদান দেওয়ার সময় দাতা সম্পর্কে সমস্ত তথ্য গোপন রাখা যেত। কিন্তু, নির্বাচনী ট্রাস্টের ক্ষেত্রে তেমনটা সম্ভব নয়। সত্যিই কি তাই?
♋নিয়ম অনুসারে, যদি কোনও ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা সংস্থা নির্বাচনী ট্রাস্টের মাধ্যমে কোনও রাজনৈতিক দলকে অনুদান দেন বা দেয়, তাহলে সেই দাতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেশ করতে হবে। দাতার পরিচয় গোপন রাখা যাবে না। যদিও , সংশ্লিষ্ট রিপোর্টে কিন্তু কোন কর্পোরেট সংস্থা কোন রাজনৈতিক দলকে কত পরিমাণ অনুদান দিয়েছে, তা উল্লেখ করা হয়নি!