𒆙 চিনের ওপর নির্ভরতা কমাতে চায় অ্যাপল। এই আবহে অ্যাপল ফোনের প্রস্তুতকারক সংস্থা ফক্সকন ভারতে তাদের ব্যবসা বাড়াতে চাইছে। তবে প্রযুক্তি সংস্থাগুলি যাতে চিন থেকে ব্যবসা না গোটায় তার জন্যে নানা ফন্দি আঁটছে বেজিং। উল্লেখ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পরে চিনা পণ্যের ওপরে উচ্চ হারে শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, এই আবহে অনেক সংস্থাই চিনে তাদের উৎপাদন কমাতে চাইছে। তবে এতে চিনের অর্থনীতি প্রভাবিত হতে পারে। এছাড়া কর্মসংস্থানে ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এই আবহে বেজিং নাকি স্থানীয় সরকারগুলিকে মৌখিক ভাবে নানান নির্দেশ দিচ্ছে। যাতে সংস্থাগুলি চিন থেকে প্রযুক্তি বা সরঞ্জাম স্থানান্তর না করতে পারে বা কর্মীদের অন্যত্র বদলি না করে, তার জন্যে নীতি নির্ধারণ করতে উৎসাহিত করছে চিন সরকার।
ಌরিপোর্ট অনুযায়ী, অ্যাপলের অ্যাসেম্বলি লাইন পার্টনার ফক্সকন তাদের চিনা কর্মীদের ভারতে পাঠাতে পারেনি চিনা সরকারের ফন্দির জেরে। এদিকে এই সব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চিনা বিদেশ মন্ত্রকের বক্তব্য, চিন সব দেশকেই সমান চোখে দেখে এবং অন্য দেশের ক্ষতি করতে কোনও কিছু করে না। উল্লেখ্য, ফক্সক এখনও চিনেই তাদের অধিকাংশ আইফোন মোবাইল তৈরি করে। তবে ট্রাম্প হোয়াইট হাউজে ঢুকলে তখন কী হবে, সেই কথা ভেবে ভারতে তাদের উৎপাদন বৃদ্ধির চেষ্টা করছে ফক্সকন। তবে চিনা বিধিনিষেধের জন্যে তা করা সম্ভব হয়নি। প্রসঙ্গত, মধ্য চিনে কয়েক লাখ চিনা নাগরিককে নিজেদের কারখানায় নিয়োগ করে রেখেছে ফক্সকন।
🃏এর আগে ২০২৩ সালের নভেম্বরে তাইওয়ান স্টক এক্সচেঞ্জের একটি ফাইলিংয়ে ফক্সকন জানিয়েছিল, ভারতে ১.৬ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে। ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১৩ হাজার ৩৩৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। জানা যায়, ফক্সকনের ব্যবসার আর্ধেকেরও বেশি আইফোন প্রস্তুত করা ঘিরে। এই আবহে বিগত বহু বছর ধরে ভারতেও ফক্সকন আইফোন তৈরি করে চলেছে। সদ্য লঞ্চ হওয়া আইফোন ১৫-ও ভারতে তৈরি করছে ফক্সকন। তবে এখনও তারা সবচেয়ে বেশি আইফোন প্রস্তুত করে চিনের ইউনিটগুলিতে। তবে ভারতে তাদের কর্মক্ষমতা দ্বিগুণ করা হবে বলে দাবি করেছিলেন ফক্সকন কর্তারা। যদিও চিনা কড়াকড়িতে তা কতটা সম্ভব হয়েছে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
🎃ভারত এই সব বিধিনিষেধের বিষয়ে অবগত বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। তবে ভারত মনে করছে, শুধুমাত্র ভারতকে ঠেকাতে চিন এমন নীতি এনেছে, বিষয়ট তেমন নয়। তবে চিনের এই বিধিনিষেধের জন্যে ভারতে ফক্সকনের ব্যবসা বৃদ্ধি হচ্ছে না সেভাবে। যদিও ভারতে ফক্সকনের উৎপাদনে কোনও ঘাটতি আসেনি। অপরদিকে ভারত নিজে চিনা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে খুব কড়াকড়ি দেখিয়ে চলেছে গালওয়ান সংঘর্ষের পর থেকেই। এমনকী চিনা ব্যক্তিদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রেও কড়াকড়ি বর্তেছে ভারত। এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারত ছাড়া ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া এবং থাইল্যান্ডের মতো দেশেও চিন থেকে সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করেছে বেজিং।