🔯 গত ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে কেন্দ্রের আওতায় একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি তৈরি হয়েছিল। তদন্ত কমিটি খতিয়ে দেখেছিল আমেরিকা ও ভারতে সংগঠিত অপরাধ গোষ্ঠীগুলিকে, জঙ্গি সংগঠন, মাদক পাচার, ইত্যাদি কর্মকাণ্ডে জড়িত বিষয়, যা দুই দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। এই বিষয়কগুলির প্রেক্ষাপটে ‘জনৈক ব্যক্তি’র বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের সুপারিশ করেছে কমিটি। সদ্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, তদন্ত কমিটি কেন্দ্রের কাছে তার রিপোর্ট পেশ করেছে, যেখানে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের সুপারিশ করা হয়েছে।
ඣউল্লেখ্য, ‘এনডিটিভি’র রিপোর্ট দাবি করছে, নাম না করা এই ‘ব্যক্তি’, যাকে এফবিআই ভারতের প্রাক্তন গোয়েন্দা ‘সিসিওয়ান’ নামে অভিহিত করেছে। আগেই এফবিআই এই সিসিওয়ানকে বিকাশ যাদব বলে উল্লেখ করেছে। তারা দাবি করেছিল, বিকাশ যাদব ভারতের প্রাক্তন ’রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং অফিসার'। যদিও দিল্লি জানিয়েছিল, সিসিওয়ান আর সেখানে কর্মরত নন। এবার সেই সিসিওয়ানের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে কেন্দ্রের তদন্তকারী কমিটি।
𒈔এক বিবৃতিতে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে,' দীর্ঘ তদন্তের পর, কমিটি তার প্রতিবেদন সরকারের কাছে পেশ করেছে এবং জনৈক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে, যার পূর্বের অপরাধমূলক যোগসূত্র এবং পূর্ববর্তী আচরণও তদন্তের সময় নজরে এসেছে।' স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, কমিটি সুপারিশ করেছে যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা দ্রুত শেষ করতে হবে। উল্লেখ্য, সামনেই রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ। তার আগে, সিসিওয়ানকে নিয়ে ভারতের এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়। ট্রাম্প গদিতে বসার আগেই দিল্লি সিসিওয়ানের নাম না করে যে বিবৃতি পেশ করেছে, তা কূটনৈতিক মহলে সাড়া জাগানো খবর।
꧅আমেরিকায় ২০২৩ সালে পান্নুন হত্যার ছকের অভিযোগ ঘিরে ওই ব্যক্তির সঙ্গে ড্রাগ মাফিয়া ও অপরাধ গ্যাংগুলির সংযোগের তদন্ত করেছে কমিটি।
ꦏএদিকে, বিবৃতিতে বলা হয়েছে,' তদন্ত কমিটি তার নিজস্ব তদন্ত পরিচালনা করেছে এবং মার্কিন পক্ষের দ্বারা প্রদত্ত লিডও অনুসরণ করেছে। এটি মার্কিন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পূর্ণ সহযোগিতা পেয়েছে এবং উভয় পক্ষ সফরও করেছে। কমিটি বিভিন্ন সংস্থার বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে আরও পরীক্ষা করে এবং এই বিষয়ে প্রাসঙ্গিক নথিপত্রও যাচাই করেছে।'
✅উল্লেখ্য, সিসিওয়ানকে ঘিরে মূল অভিযোগ ছিল, আমেরিকার বুকে আমেরিকা ও কাবাডার দ্বৈত নাগরিকত্বে থাকা খলিস্তানপন্থী নেতা পান্নুনকে হত্যার ছক। যে হত্যার ছক বানচাল হয়ে যায়। সিসিওয়ান কোড নামের ওই ব্যক্তিকে পরে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই বিকাশ যাদব বলে দাবি করে। যাকে ভারতের প্রাক্তন ’রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং অফিসার' বা র- এর গোয়েন্দা বলে দাবি করে এফবিআই। যদিও দিল্লি সাফ কথায় তা নস্যাৎ করে জানায়, যে সিসিওয়ান ভারতের কেউ নয়। নিউইয়র্কের আদালত, পান্নুন হত্যার ছকে বিকাশ যাদবের বিরুদ্ধে ভাড়াটে খুনি নিয়োগ ও আর্থিক তছরুপের অভিযোগ তোলে। এফবিআইর অভিযোগ ছিল এই কাজের নেপথ্যে ভারতের গোয়েন্দারা রয়েছে। এদিকে, বিকাশ যাদবের নিয়োগ করা ভাড়াটে খুনি বলে অভিযুক্ত নিখিলকে প্রাগ থেকে গ্রেফতার করে এফবিআই