♈ কাশ্মীর নিয়ে উঠোন চালাকি করতে গিয়েছিলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির। আর তাতে ভারতের সামনে পুরোপুরি বেআব্রু হতে হল। মাত্র তিনটি লাইনেই পাকিস্তানের ‘অওকাত’ দেখিয়ে দিল নয়াদিল্লি। কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের মন্তব্যকে স্রেফ ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে শুক্রবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জসওয়াল বললেন, ‘বিদেশের কোনও জায়গা কীভাবে ঘাড়ের শিরা হতে পারে? এটা (কাশ্মীর) ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। পাকিস্তানের সঙ্গে কাশ্মীরের একমাত্র সম্পর্ক হল যে অবৈধভাবে দখল করে রাখা (কাশ্মীরের) অংশ থেকে সরে যেতে হবে ওই দেশকে।’
কাশ্মীরি ভাইদের ছাড়ব না, বলেছিল পাকিস্তান
𝔍আর ভারত সেই মন্তব্য করেছে মঙ্গলবার ইসলামাবাদে প্রথম ‘ওভারসিজ পাকিস্তানিস কনভেনশন’-র মঞ্চ থেকে পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের বয়ানের পরে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যাওয়া ভিডিয়োয় পাকিস্তানি সেনাপ্রধানকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘(কাশ্মীর নিয়ে) আমাদের অবস্থান একেবারে স্পষ্ট। ওটা আমাদের ঘাড়ের শিরা ছিল। আমাদের ঘাড়ের শিরা থাকবে। আমরা (কাশ্মীরকে) ভুলব না। আমাদের কাশ্মীরি ভাইদের বীর সংগ্রামে একা ছেড়ে যাব না আমরা।’
হিন্দু আলাদা, মুসলিম আলাদা, দাবি করেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান
ﷺজেনারেল মুনির সেই মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ, প্রথমসারির মন্ত্রী এবং বিদেশে বসবাসকারী পাকিস্তানিদের সামনে। তাঁদের সামনেই দ্বিজাতি তত্ত্বকে উসকে দিয়ে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান বলেন, 'সন্তানের কাছে পাকিস্তানের কাহিনী বলতে হবে আপনাদের। যাতে তারা ভুলে না যায় যে আমাদের পূর্বপুরুষরা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই নিজেদের হিন্দুদের থেকে আলাদা বলে মনে করতেন।'
💜পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আরও বলেন, 'আমাদের ধর্ম আলাদা। আমাদের রীতিনীতি আলাদা। আমাদের সংস্কৃতি আলাদা। আমাদের ভাবনাচিন্তা আলাদা। আমাদের আকাঙ্খা আলাদা। ওটা দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তি ছিল। যা সেখানে তৈরি করা হয়েছিল। আমরা দুটি রাষ্ট্র। আমরা একটি রাষ্ট্র নয়।' সেইসঙ্গে পাকিস্তানিদের সামনে নিজেদের ইতিহাস তুলে ধরার চেষ্টা করেন জেনারেল মুনির।
'কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে, থাকবে'
🐼যদিও সেইসব বিষয় নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি ভারত। যা বলার, সেটা কাশ্মীর নিয়ে বলেছে নয়াদিল্লি। অতীতেও কাশ্মীর নিয়ে একাধিক নয়াদিল্লি স্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে। কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের কথা বলার কোনও অধিকার নেই বলে স্পষ্টভাবে জানিয়ে এসেছে ভারত। আর একাধিকবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও বলেছেন যে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরও ভারতের হাতে আসবে।